eaibanglai
Homeএই বাংলায়শিক্ষারত্ন ২০২৪ পাচ্ছেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষক

শিক্ষারত্ন ২০২৪ পাচ্ছেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষক

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- এবার শিক্ষারত্ন ২০২৪ পাচ্ছেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষক। প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং জয়েন্টে বাঁকুড়ার শিক্ষার্থীদের জয়জয়কার শোনা যায়। তবে শিক্ষক দিবসের ঠিক প্রাক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়া জিলা স্কুলের এসিস্ট্যান্ট মাস্টার, ইংরেজির শিক্ষক রক্তিম মুখার্জী একজন পূর্ণ শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত হলেন।

রুটিন মাফিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদের শিক্ষা প্রদান করা ছাড়াও রক্তিম মুখার্জী করে থাকেন বিদ্যালয় এবং পাঠ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বহু কাজ যেমন, লোকসভা নির্বাচনের আগে জিলা স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে “মক পার্লামেন্ট” গঠন করা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবা মূলক কাজ কর্মে সক্রিয় ভাবে যোগদান করা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। রক্তিম মুখার্জী বলেন, “খবরটা পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি। একজন শিক্ষক হিসেবে নিজের রোল টা প্লে করতে পেরে খুবই গর্বিত।”

অনলাইনে আবেদন করার পর, একটি জেলাভিত্তিক স্ক্রিনিং করার পর রাজ্য স্তরে একটি স্ক্রিনিং করা হয়। ২৭ জুলাই ২০২৪ এ একটি পারসোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয় রক্তিম মুখার্জীর। তারপরে বুধবার মেইল করে জানানো হয় বাঁকুড়ার শিক্ষক রক্তিম মুখার্জী পাচ্ছেন শিক্ষারত্ন ২০২৪। পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরায় বাড়ি শিক্ষক রক্তিম মুখার্জির। আইসিএসসি বোর্ডে মাধ্যমিক দিয়ে সিবিএসসি বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন তিনি। সর্বশেষ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন শিক্ষক রক্তিম মুখার্জী। বাঁকুড়া জিলা স্কুলে ২০০৪ সালের মার্চ মাস থেকে যোগদান করেন তিনি।

বাবা-মায়ের পাশাপাশি একজন শিক্ষকের ভূমিকা অনেকটা কুমোরের মতো। মাটির তালকে ঠিকভাবে আকার না দিতে পারলে সেই মাটির তাল ভেঙে পড়ে। একজন ভালো শিক্ষক একটি মাটির তাল থেকে তৈরি করতে পারেন দূরদর্শী শিক্ষার্থী। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের শিক্ষক রক্তিম মুখার্জি, এমনটাই করছেন ২০০৪ সাল থেকে। তাঁর এই ধারাবাহিক কাজের জন্য পেলেন শিক্ষারত্ন ২০২৪। উজ্জ্বল হল জেলা বাঁকুড়ার নাম।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments