সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– তালা ভেঙে ইসিএলের খালি আবাসন জবরদখ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো এলাকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। একটি দুটি নয়, ছটি আবাসন বেআইনি ভাবে জবরদখল করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের বারাবনিতে ইসিএলের সাতগ্রাম ও শ্রীপুর এরিয়ার ভানোড়া কোলিয়ারি এলাকায়। সোমবার রাতে ঘটা ওই জবরদখলের খবর মঙ্গলবার জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অন্য আবাসনের স্থায়ী বাসিন্দারা।
জানা গেছে সোমবার রাতে ছয়টি ইসিএল আবাসনের তালা ভেঙে স্থানীয় কিছু পুরুষ ও মহিলা ঢুকে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে এই খবর যায় ইসিএলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ইসিএলের এরিয়া সিকিউরিটি ও ভানোড়া কোলিয়ারির আধিকারিকরা এলাকায় পৌঁছন এবং ওইসব আবাসন দ্রুত খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও প্রথমে সেই নির্দেশ মানতে রাজি হননি জবরদখলকারীরা। পরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারী দেওয়া হলে ওই সব আবাসন থেকে জিনিসপত্র বার করে নেন জবরদখলকারীরা। এমনকি জবরদখলকারী এলাকার মহিলারা দাবি করেন আবাসনগুলি খালি পড়ে ছিল বলে তারা থাকতে এসেছিলেন! যা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান সিকিউরিটি অফিসাররা।
এদিনের এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভানোড়া কোলিয়ারির পার্সোনাল ম্যানেজার রঞ্জিত রাঠৌর ও চরণপুর খোলা মুখ খনির সিকিউরিটি অফিসার শান্তনু বারিক। কার বা কাদের মদতে এইভাবে রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে ইসিএলের সরকারি আবাসন দখল করার সাহস পেল ওই পুরষ ও মহিলারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।