জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আউসগ্রাম ও মঙ্গলকোট -: গত দু’তিনদিন ধরে কুনুর নদীর উৎসমুখে ও অববাহিকা অঞ্চলে একটানা কখনো ভারি কখনো বা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি কুনুরের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত ডিভিসি জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এদিকে নাব্যতা কমে যাওয়ায় নদীর জল ধারণক্ষমতা কমে গ্যাছে। ফলে অতিরিক্ত জল নদীর দু’কূল ছাপিয়ে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে দিয়েছে।
ইতিমধ্যে মঙ্গলকোটের সারঙ্গপুর, সরুলিয়া, চকপরাগ, বালিডাঙা, উজিরপুর, জালপাড়া, গণপুর, রামনগর প্রভৃতি গ্রামের ধানের জমি প্লাবিত হয়েছে। চাষীরা খুবই চিন্তিত। প্রায় মাসখানেক আগে বন্যা হওয়ার জন্য এইসব এলাকার চাষীদের অতিরিক্ত খরচ করে দ্বিতীয়বার ধান রোপণ করতে হয়েছে। আবার এই পরিস্থিতি। তাদের আশঙ্কা পাকা ধান তোলা যাবেতো? গণপুরের প্রবীণ চাষী চাঁদ হেমরম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি দেখে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছি। সামনে পুজো। ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দেওয়া দূরের কথা তাদের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে পারব কিনা জানিনা। খুবই হতাশ লাগল তাকে। একই পরিস্থিতি আউসগ্রামের বেশ কিছু গ্রামের। রাস্তায় জল উঠে যাওয়ায় গুসকরা শহরের সঙ্গে পরশুরামপুর, কাঁটাটিকুড়ি সোয়ারা প্রভৃতি গ্রামের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। এদিকে একাদশ শ্রেণির সেমিস্টার পরীক্ষা চলার জন্য খুবই চিন্তিত ঊর্মিলা, সূর্য প্রমুখ একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা। আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বললেন, প্রকৃতির উপর কারও হাত নাই। তবে আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। দলের কর্মীদের বলেছি কোথাও সমস্যা হলে অবশ্যই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি তাকেও যেন জানানো হয়। তিনি নিজেও সর্বদা দলের কর্মী ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।