সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- তিলোত্তমার ন্যায় বিচার ও আর জি কর কান্ডের ক্ষেত্রে মানুষের সতস্ফূর্ত প্রতিবাদ রীতিমত লক্ষ্য করার মত। তুষের আগুনের মত যেন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিবাদের আগুন তিলোত্তমার ন্যায় বিচার চেয়ে। সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক, গৃহকর্মী থেকে শুরু করে কর্মরতা মহিলা, শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে তারকা সকলকে এক ছাদের তলায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এই একটি ঘটনা। সম্প্রতি আমরা কথা বলছিলাম জনপ্রিয় অভিনেতা অনুজিত সরকারের সাথে।
আর জি কর প্রসঙ্গে ওঠা সাক্ষাৎকারে আমাদের প্রতিনিধি সঙ্গীতা চৌধুরীকে তিনি বলেন, “Justice for R G Kar- এটা আজ শুধুই একটা হেডলাইন নয়। এই লড়াইটা মানুষ যে শুধু তিলোত্তমার জন্য লড়ছে, এটা কিন্তু আমার মনে হয়নি। এই লড়াইটা সকলে নিজেদের জন্য লড়ছেন। কোথাও গিয়ে আমার মনে হয়েছে মানুষের মধ্যে থাকা বহুবছরের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। প্রাচীন সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সমাজে যত ক্ষেত্রে নারীদেরকে দমন করা হয়েছে, সেই সব ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তিলোত্তমা এবং আরজিকর কে কেন্দ্র করে। যেমন ধরুন ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগান তারা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী, যারা কখনও এক ছাদের তলায় আসে না। আজকে সেই দুটো ক্লাব নিজেদের মধ্যে থাকা যাবতীয় শত্রুতা ভুলে এক ছাদের তলায় দাঁড়ালো প্রতিবাদ করতে তাহলে বোঝা যাচ্ছে ঘটনাটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ যা মানুষকে রীতিমত ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে।”
অভিনেতা অনুজিত সরকার আরও বলেন,“আজকের সমাজের প্রত্যেকটা শ্রেণী এক হয়ে গিয়েছেন। কোন মানুষ রিকশাচালক, কোন মানুষ কোটিপতি সেই বিষয়টা আজ আর কোন কিছুই ম্যাটার করছে না। প্রত্যেকেই আজ এক লাইনে দাঁড়িয়ে বিচার চাইছেন তার কারণ একজন রিক্সা চালক মানুষেরও যেমন বাড়িতে একটি মেয়ে আছে, তেমনি একজন কোটিপতিরও বাড়িতে একটি মেয়ে আছে। সকলেই সেই মেয়ের চিন্তায় কাতর। তো এই বিষয়গুলো গভীর ভাবে ভাবলেই বোঝা যায় ঘটনাটা কতটা গভীরভাবে আমাদের সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সব শ্রেণীর মানুষ আজ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছেন। আমি নিজে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে অবশ্যই চাই এই নিকৃষ্ট ঘটনার পিছনে যারা আছেন তাদের মুখোশগুলো সামনে আসুক আর অন্যায়কে কোনও ভাবে ধামাচাপা না দিয়ে সত্যের প্রতিষ্ঠা হোক। অপরাধীরা, চরম থেকে চরমতম শাস্তি পাক।”