সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– বৃহস্পতিবার রেল শহর চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি বাজারে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে নেমেও তা বন্ধ রাখল কর্তৃপক্ষ। আগে থেকেই এই এলাকায় প্রায় দেড়শোটি দোকান উচ্ছেদের নোটিশ জারি করেছিল রেল। সেই মতো এদিন পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছয় কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি দোকান ভাঙার কাজও শুরু হয়। এমনকি এলাকার বেশকিছু দোকানদার নিজেরাই দোকানের জিনিসপত্র সরাতে শুরু করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে এদিনের উচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে সি এল ডাবলু’র জিএমের সাথে দেখা করে বৈঠক করেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডাক্তার অজয় পোদ্দার। এই বৈঠকের পরই উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অজয়বাবু বলেন, “ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের ডাকে আমি এসেছি এবং জিএম-এর সাথে কথা হয়েছে। ছট্ পরব পর্যন্ত কোনো উচ্ছেদ অভিযান চলবে না বলে কথা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং এই কথাটাই লাগু হবে। সি এল ডাবলু ভারত বর্ষের খুবই গুরত্বপূর্ণ সংস্থা। আমরা সব সময় তাদের সঙ্গে আছি। তাদের সহযোগিতায় এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা গেছে।”
অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে আদপে বিজেপির রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছে শসক দল তৃণমূল। প্রসঙ্গত গতকালই চিত্তরঞ্জন শহরে উচ্ছেদ আটকাতে সি এল ডাবলু’র জিএমের সাথে বৈঠক করেছিলেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি অনুরোধ করেন দুর্গাপুজার সময় এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখতে। বৈঠক শেষে তিনি জানান, জিএম তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে রেল বোর্ডের সাথে কথা বলার। কিন্তু তারপরেও বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ।
গত প্রায় দেড় বছর ধরে চিত্তরঞ্জন শহর জুড়ে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও বহিরাগতদের দখল থেকে মুক্ত করে রেল আবাসিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেল বোর্ড। এর আগে বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযানে রেল শহরের আনাচে কানাচে গজিয়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। যাতে ভাঙা পড়ে প্রায় বহু দোকান, ঘর বাড়ি ।