সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- মহালয়ায় বোধন আবার মহালয়াতেই বিসর্জন। একদিনের এই দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার হীরাপুর থানার অন্তর্গত ধেনুয়া গ্রামে। আসানসোলের বার্ণপুরের দামোদর নদের তীরে ধেনুয়া গ্রামে রয়েছে কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রম। সেখানেই ১৯৭৯ সালে মায়ের স্বপ্নাদেষ পেয়ে তেজানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক মাতৃ সাধক একদিনের এই পুজোর সূচনা করেন। সেই রীতি চলে আসছে এখনও।
এখানে দেবী প্রতিমা একচালার। তবে মায়ের সঙ্গে এখানে থাকেননা তাঁর পুত্র কন্যারা। মা এখানে একা আসেন, সাথে থাকেন তাঁর দুই সঙ্গী জয়া ও বিজয়া। দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে মহালয়ার দিন অমাবস্যা তিথিতেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পূজা সম্পন্ন হয়। পুজো শেষে দিনের দিনই নবপত্রিকার বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জন দেওয়া হয় ঘটও। তবে দুর্গা প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়। বাঙালির চিরাচরিত রীতি মেনে দশমীর দিনই অন্যান্য প্রতিমার সাথে এই দেবী প্রতিমারও বিসর্জন হয়।
প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন। আসানসোল বার্নপুর দুর্গাপুর এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া,পুরুলিয়া থেকেও এই বিশেষ পুজো দেখতে ও মায়ের পুজো দিতে ভিড় জমান ভক্তরা। পাশাপাশি এদিন মন্দির চত্বরে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ভক্তকে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানোর ব্য়বস্থা থাকে। এবারও কালীকৃষ্ণ আশ্রমের এই পুজো দেখতে ভক্তদের ঢল নেমেছে ।