eaibanglai
Homeএই বাংলায়শেষ হলো কলকাতা হাইকোর্টের ৪০ ঘণ্টা ব্যাপী মেডিয়েশন প্রশিক্ষণ

শেষ হলো কলকাতা হাইকোর্টের ৪০ ঘণ্টা ব্যাপী মেডিয়েশন প্রশিক্ষণ

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী কলকাতা -: লোকসংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি আদালতের ‘বেঞ্চ’ সংখ্যা। বিভিন্ন আদালতে বিচারপতির পদ শূন্য আছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্ট ও জেলা আদালতে জমে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মামলা। হয়রানির শিকার হচ্ছেন বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। এরই অন্যতম অঙ্গ হলো ২০১৬ সালের ৩ রা ডিসেম্বর ‘ইন্ডিয়ান ল সোসাইটির গভর্নিং কাউন্সিল’ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ‘সেন্টার ফর আরবিট্রেশন অ্যান্ড মেডিয়েশন’ বা মধ্যস্থতা যেটি দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে বিবাদের সমাধান করে। আইনি পেশার বাইরে অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি তাদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

গত ৩ অক্টোবর থেকে কলকাতার নিউটাউন-রাজারহাটের ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল একাডেমিতে শুরু হয় প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হয় ৭ ই অক্টোবর। টানা পাঁচদিন ধরে ৪০ ঘণ্টার এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন দু’জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মাননীয় শুভাশিস দাশগুপ্ত ও মাননীয় সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী সহ কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের রেজিস্ট্রার শ্রী দেবপ্রসাদ নাথ, প্রেসিডেন্সি স্মল কজেস কোর্টের চিফ জাজ শ্রী আশুতোষ কুমার সিং, কলকাতার ফ্যামিলি কোর্টের প্রিন্সিপাল জাজ শ্রী গোপাল চন্দ্র কর্মকার, রাজ্য অনুসন্ধান বিভাগের কমিশনার জনাব রশিদ আলম ও রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের ২০ জন আইনজীবী। আইনি পেশার বাইরে এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সিএ শ্রীমতী মহুয়া ঘোষ এবং সাংবাদিক ও সাহিত্য সংগঠক মোল্লা জসিমউদ্দিন। জানা যাচ্ছে, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মধ্যে থেকে মেডিয়েটর নিয়োগ করা হবে এবং নিদিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিচারধীন মামলাগুলি দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বে এবং মেডিয়েশন ও কনসলিডেশন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি সঞ্জীব শর্মার পরিচালনায় এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র মেডিয়েশন ট্রেনার কে. কে মাখিজা এবং শ্রীমতী নাগিনা জৈন এই প্রশিক্ষণ পর্বের প্রশিক্ষক হিসাবে নেতৃত্ব দেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের উপস্থিতির সাক্ষর গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটি অফিসের কর্মী মহম্মদ নৌশাদ। কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (লিগ্যাল) তথা মিডিয়েশন ও কনসলিডেশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড. শুভাশিস মুহুরী জানান – ‘তৃতীয় পর্যায়ের এই প্রশিক্ষণে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ২৮ জন প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। এই কমিটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জমে থাকা মামলা গুলির দ্রুত নিস্পত্তি ঘটানো’। এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পান কলকাতা হাইকোর্টের আইনি সংবাদদাতা মোল্লা জসিমউদ্দিন। সংশ্লিষ্ট কর্ত‍ৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন – দীর্ঘদিন গ্রামীণ এলাকায় সাংবাদিকতা করে কলকাতা শহরে এসেছি। এখানে এসে কলকাতা হাইকোর্টের আইনি সংবাদদাতা হিসাবে কাজের সুযোগ পেয়েছি। এখন এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। প্রসঙ্গত জসিমউদ্দিনের একাধিক বার লোক আদালতের ‘মেম্বার জাজ’ হিসাবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments