eaibanglai
Homeএই বাংলায়পিরামিড রহস্য, বৃদ্ধাশ্রম, সবুজ বাঁচানোর আহ্বান, থিমে জমজমাট তারকেশ্বর

পিরামিড রহস্য, বৃদ্ধাশ্রম, সবুজ বাঁচানোর আহ্বান, থিমে জমজমাট তারকেশ্বর

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী,তারকেশ্বরঃ– তারকেশ্বরে দুর্গাপুজোর থিম দেখলে এবার চমকে যেতে হয়। কোথাও হয়েছে মিশরের পিরামিড রহস্য, কোথাও তুলে ধরা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমের থিম, আবার কোথাও থিমের মধ্যে ফুটে উঠেছে সবুজ বাঁচানোর আহ্বান। এবার তারকেশ্বরের দেশবন্ধু ক্লাবের থিম, ‘গাছ লাগাও প্রাণ বাঁচাও’। পুরো পুজো মণ্ডপ জুড়ে সবুজ গাছ-গাছালি। সূর্যের তাপে গাছের বেড়ে ওঠা প্রকৃতির জন্য কতটা বড় আশীর্বাদ সেটাই বোঝাতে চেয়েছে এই সংঘ।

দেশবন্ধু ক্লাবের থিম ‘গাছ লাগাও প্রাণ বাঁচাও’

তারকেশ্বরের সাহাপুর নিউ সংঘশ্রী ক্লাবের দুর্গা পুজোর থিমে এবার ফুটে উঠেছে মিশরীয়‌ সভ্যতা। মিশরে ফ্যারাওদের কথা তো আমরা সবাই জানি, মিশরীয় রাজাদের ফ্যারাও বলা হত। যাদের মৃত্যুর পর তাদের মমি করে রাখা হত এবং তাদের মমির পাশে প্রচুর সোনা গয়না কলসিতে করে রেখে দেওয়া হত। মিশরীয় সভ্যতার এই ইতিহাস আমরা ব‌ইয়ের পাতায় পড়েছি, কিন্তু মিশরীয় সভ্যতাকেই এইবার তুলে ধরা হল শৈব তীর্থ তারকেশ্বরে।

নিউ সংঘশ্রী ক্লাবের থিম ‘মিশরীয়‌ সভ্যতা’

তারকেশ্বরের সাহাপুরের মাঠে নিউ সংঘশ্রী ক্লাবের পুজো দেখতে গিয়ে দর্শনার্থীরা অতীত ইতিহাসে ফিরে যাচ্ছেন। পুজো মণ্ডপে মমি থেকে শুরু করে মমির পাশে কলসিতে রাখা সোনা সবটাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে‌। স্বাভাবিকভাবেই ব্যতিক্রমী এই পুজো সকলের নজর কেড়েছে। ভিড়ের মধ্যে এক দর্শনার্থী বলে উঠলেন, “মিশরে তো আর যাওয়া হবে না, তারকেশ্বর‌ই মিশর দেখে নিলাম।” এই পুজো মণ্ডপের ভিড় প্রমাণ করে দিচ্ছে থিমের নতুনত্ব বজায় রাখতে সফল হয়েছে সাহাপুর নিউ সংঘশ্রী ক্লাব।

তারকেশ্বরের উদয় সংঘ ক্লাবে এবার থিম হিসেবে উঠে এসেছে বৃদ্ধাশ্রম ।‌ বর্তমানে ছাতার মতো করে যেমন পুরোনো বাড়ি ভেঙে বহুতল আবাসন তৈরি হচ্ছে, তেমনই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে বৃদ্ধাশ্রম। কারণ বর্তমানে ছেলে বৌমার ফ্ল্যাটে, বিলেতি কুকুরের জায়গা হয় কিন্তু বয়স্ক বাবা মায়ের জায়গা হয় না। সেই কারণে বাবা-মায়ের জায়গা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। নচিকেতার গানের লাইনের মতো বলতে ইচ্ছে করে ‘আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম’। এবার উদয় সংঘ ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলে উঠে এসেছে এই বৃদ্ধাশ্রমেরর বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দিনযাপনের ছবি।

উদয় সংঘ ক্লাবের থিম ‘বৃদ্ধাশ্রম’

এই পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এমনকি সোদপুর, চাপাডাঙ্গা থেকেও প্রচুর মানুষ এসেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “মা তো অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতেই আসেন, তাই পুজোর থিমে যখন দেখি সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে আসছে তখন ভালো লাগে বৈকি।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments