সঙ্গীতা চৌধুরী, বহরমপুর:- ৮ ই অক্টোবর হলে মুক্তি পেয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় ,সোহম চক্রবর্তী অভিনীত ছবি শাস্ত্রী। এই ছবিতেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাবে বহরমপুরের ছেলে জনপ্রিয় অভিনেতা অরিজিৎ লাহিড়ীকে। সম্প্রতি বহরমপুরে এসেছিলেন অভিনেতা। সেখানেই শাস্ত্রী ছবি নিয়ে কথা বললেন আমাদের প্রতিনিধি সঙ্গীতা চৌধুরীর সাথে।
১।মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
অরিজিৎ লাহিড়ী: প্রথমদিন শুটিং করতে গিয়ে সামনে মিঠুন স্যারকে দেখে একটু নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম, ছোট থেকে যার ছবি দেখে এসেছি তার সামনে অভিনয়, বেশ টেনশন হচ্ছিল, অথচ উনি এত অভিজ্ঞ একজন মানুষ ঠিক সেটা বুঝে গিয়েছেন,উনি নিজেই আমাকে মজা করে বললেন, ওরে আমি ভাল্লুক নই, তোকে আমি খাব না, ভালো করে কাজ কর, রিলেক্সে থাক- সেদিন বুঝেছিলাম উনি শুধু বড় মাপের অভিনেতা নন, অন্তর্ভেদী দৃষ্টি সম্পন্ন একজন খুব ভালো মানুষ। যার মধ্যে এতটুকু অহং নেই।
২।আপনাকে এই ছবিতে দর্শক কোন চরিত্রে দেখতে পাবে?
অরিজিৎ লাহিড়ী: এই ছবিতে দর্শক আমাকে সোহমদার সহকর্মী বন্ধু হিসেবে দেখতে পবেন।
৩। মিঠুন চক্রবর্তী তো শাস্ত্রী করতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন…এরপর আবার বাকি শুট করেন?
অরিজিৎ লাহিড়ী: হ্যাঁ, আমার যখন শুটিং শুরু হয় মিঠুন স্যার হসপিটাল থেকে ডিসচার্জ হয়ে সবে সেটে ফিরেছেন। শুটিংয়ের সময় উনি যে অসুস্থ আছেন সেটা ক্যামেরা অন হলে ১ পার্সেন্টও বোঝা যায় নি। এতটাই দক্ষ অভিনেতা তিনি। উনি প্রতিটা শট একটাই টেক-এ দেন, আসলে এতবছরের অভিজ্ঞতা ও পরিশ্রম যে কতটা তীক্ষ্ণ হতে পারে, সেটা মিঠুন স্যারকে সামনে দেখলে বোঝা যায়। এই বিষয়গুলো একজন নিউকামারের ক্ষেত্রে অবশ্যই শেখার আছে।
৪। শাস্ত্রীর শুটিং করতে গিয়ে সবথেকে ভালোলাগার জায়গা কী?
অরিজিৎ লাহিড়ী: শাস্ত্রীর শুটিংয়ে সবথেকে ভালো লাগার বিষয় হল এই সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফার গোপী ভাগতের সঙ্গে আলাপ ও তার লেন্স দিয়ে নিজের যতটুকু পারফরম্যান্স ঠিকভাবে করা।
















