সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– চিকিৎসার গাফিলতিতে ১৮ বছরের এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ালো আসানসোল জেলা হাসপাতালে। দফায় দফায় মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ও সুপারের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখান। অবশেষে মৃতের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের রাধানগর রোডের বাসিন্দা, পেশায় গাড়ি চালক সুরজ রুইদাসকে গত সোমবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ডাঃ সোমনাথ গুপ্তর আন্ডারে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওয়ার্ডে থাকা এক জুনিয়র ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করেন। এরপর তাকে সিসিইউ বা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটিকে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, ওয়ার্ড থেকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়ার সময় তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। তখন তাকে আবার ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনা হয়। এবং বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান ৫ দিন ধরে জ্বর বমি লুজ মোশন সহ একাধিক সমস্যায় ভুছিলেন ওই তরুণ।
এরপরই মৃত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে য়ায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকা হয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের স্কুটি সওয়ার বিশেষ মহিলা বাহিনীকে।
সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুপার কথা বলেন। মৃত রোগীর বাবা ভরত রুইদাস, মা টিঙ্কু রুইদাস সহ পরিবারের লোকজন অভিযোগ জানান তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে মৃত্যুর কারণ জানতে চান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সঙ্গে কথা বলেননি। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথাও জানান তারা। এরইমধ্যে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ সুরজের মৃতদেহ ওয়ার্ড থেকে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। তা জানার পরে পরিবারের সদস্যরা আবারও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। অভিযোগ তাদের অনুমতি ছাড়া মৃতদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও পুলিশ জানায় মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হননি মৃতেরার পরিজনেরা। তারা মৃতদেহ দেখার দাবি জানান। পরে পরিবারের সদস্যদেরকে মর্গে নিয়ে গিয়ে দেহ দেখিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।