সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– এবারের দুর্গাপুজো ও কার্নিভাল মানুষ যাতে দেখতে না যায় তার চক্রান্ত করেছিল সিপিএম সহ বিরোধীরা। যদিও তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল উত্তর বিধান সভা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ১ এর পক্ষ থেকে হওয়া বিজয়া সম্মিলনী থেকে এইভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের পাশাপাশি আসানসোলের সেনরেলের শ্রমিক ভবনে ব্লক ২ এর তরফে আরো একটি বিজয়া সম্মেলনে আয়োজন করা হয়েছিলো। দুজায়গাতেই মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উত্তর বিধান সভা বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক।
অনুষ্ঠান দুটিতে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “আমরা দুর্গাপুজো কেন করি? আমরা মায়ের কাছে বলি, তিনি যেন অশুভ শক্তির বিনাস করেন ও শুভ শক্তির উদয় করেন। কিন্তু এবছর দেখা গেলো, যে কিছু অশুভ শক্তি বাংলার দুর্গাপুজোকে পন্ড করার চক্রান্ত করেছিলো। যাতে মানুষ ঠাকুর দেখতে না যান, মন্ডপে মন্ডপে, তার জন্য অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিলো। দুর্গাপুজোর কার্নিভাল যাতে মানুষ দেখতে না আসে, তারজন্য পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্পেনিং করা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। আর এইসবের পেছনে সিপিএমের হাত ছিলো। কারণ সিপিএমের নেতারা পুজো করেনা, ধর্ম মানেনা। “পাশাপাশি এদিন তিনি দাবি করেন, এবারে আসানসোলের দুর্গাপুজোর কার্নিভাল ২৫ হাজার মানুষ দেখেছেন। গত বছরের থেকে ৫ গুন বেশি। আরো কয়েক লক্ষ মানুষ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে কার্নিভাল দেখেছেন। একইসাথে তিনি দলের পুরনো নেতা ও কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য নতুনদের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে যেসব ওয়ার্ড ও বুথে দলের প্রার্থীর হার হয়েছে, তার কারণ খুঁজতে ও ঔসব এলাকায় আরো বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিনের দুটি বিজয়া সম্মিলনীতে মন্ত্রী ছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, দুই ব্লকের দুই সভাপতি, মহিলা তৃণমূল সভাপতি অসীম চক্রবর্তী এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।