জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান-: ২৭ শে অক্টোবর বাংলার সংস্কৃতি, হস্তশিল্প, সঙ্গীত এবং অন্যান্য ঐতিহ্য নিয়ে আসানসোলের পোলো গ্রাউণ্ডে শুরু হলো তিনদিন ব্যাপী ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠান। চলবে ২৯ শে অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন খোলা থাকবে। মেলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ত্রিশটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ‘উন্নয়নের পথে মানুষের সাথে’ প্রদর্শনী থাকছে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, বাউল, কীর্তন, শ্যামাসঙ্গীত, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া সহ বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতে বাংলার সঙ্গীত জগত সমৃদ্ধ। কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পীদের সঙ্গে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণ সঙ্গীতের এই অনুষ্ঠান অন্যমাত্রা এনে দেবে। পাশাপাশি থকছে লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীদের অনুষ্ঠান। বাংলার প্রতিটি জেলার প্রতিটি গ্রাম নিজ নিজ হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত। রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে জগৎজুড়ে তাদের নাম ছড়িয়ে আছে। শীতলপাটি, ঢাকাই জামদানি, মাটির পুতুল, কাঁথা স্টিচ সহ বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প বাংলার ঐতিহ্যকে বহন করছে। এইসব হস্তশিল্পগুলি বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক। মেলার বিভিন্ন স্টলে এইসব হস্তশিল্পের সম্ভার শোভা পাবে। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস.পান্নামবলাম, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সঞ্জয় পাল, মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য (আসানসোল সদর), তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ তথ্য অধিকর্তা শ্রীমতি সমাপ্তি দত্ত, আসানসোল পৌরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী, শ্রীমতি বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়, গুরুদাস চ্যাটার্জি, একাধিক বোরো চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মন্ত্রী বলেন, বাংলার হস্তশিল্প ও সঙ্গীতের কদর সমগ্র বিশ্বজুড়ে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এইসব শিল্পের তাৎপর্য বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই শিল্পের আয়োজন করা হয়েছে। আশাকরি প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে এই মেলা সাফল্য মণ্ডিত হবে।