সৌমি মন্ডল, বাঁকুড়া:- দেখতে দেখতে ৩৭০ বছর পার হয়ে গ্যালো বাঁকুড়ার সারেঙ্গার বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদ পন্ডিত উজ্জ্বল কান্তি সিদ্ধান্ত শাস্ত্রীর ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ পরিবারের কালীপুজো। দিনটি স্মরণীয় করে তোলার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ১ লা নভেম্বর বস্ত্রদান ও নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়। বস্ত্রদান শিবিরে প্রায় দেড় হাজার দুস্থ মানুষের হাতে শীতবস্ত্র ও নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হল। পাশাপাশি প্রায় আট হাজার মানুষের জন্য নরনারায়ন সেবার আয়োজন করা হয়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তার স্ত্রী, দুই পুত্র ও পুত্র বধূদ্বয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ তার স্ত্রী অধ্যাপিকা অঞ্জনা মাহাতো, বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা ,বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারি সভাধিপতি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী শুভাশিস বটব্যাল, সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শেখর রাউত, সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত মিশ্র, বিশিষ্ট কবি গায়ক,শিক্ষক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ,জাতীয় শিক্ষক গোরাচাঁদ মুর্মু, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কবিতা মন্ডল সহ অনেকেই। প্রত্যেকেই উজ্জ্বল বাবুর এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শ্রীকান্ত বাবু বলেন, উজ্জ্বল বাবু হলেন আমাদের দক্ষিণ বাঁকুড়ার গর্ব। তিনি যেমন আয় করেন তেমনি সাধারণ মানুষের জন্য তার কিছুটা অংশ ব্যয়ও করেন। আশাকরি আগামীদিনেও তার পরিবার এই ঐতিহ্য বজায় রাখবে। উজ্জ্বল বাবুর স্ত্রী বলেন, সবই মায়ের ইচ্ছে, মা যেমন চাইছেন তেমনি হচ্ছে। পুজোর সময় আমরা চেষ্টা করেছি কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। আমরা মনে করি জীব সেবাই শিব সেবা। উজ্জ্বল বাবুর দুই পুত্র অংশুমান ও দীপ্তিমান বলেন, বাবার দেখানো পথেই আমরা চলার চেষ্টা করছি। সমাজসেবাকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে চাই।