জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান-: একদিকে কালীপুজো উপলক্ষ্যে শব্দ দানবের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মত গুরদায়িত্ব পালন এবং অন্যদিকে সামাজিক জীব হিসাবে পুজোর সময় সামাজিক দায়িত্ব পালন – অসাধারণ দক্ষতায় এই দুটি দায়িত্ব পালন করলেন আউসগ্রাম থানা ও গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ আধিকারিকরা।
দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামরক্ষী বাহিনীর উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় আয়োজিত হয়ে আসছে কালীপুজো। আউসগ্রাম থানা ও গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ি তার ব্যতিক্রম নয়।
কালী পুজো উপলক্ষ্যে গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ির উদ্যোগে এলাকার বেশ কয়েকজন শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্কুল ব্যাগ। এগুলি পেয়ে শিশুরা খুব খুশি। তাদের অভিভাবক সহ স্থানীয়রা পুলিশের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জ্জী,ডিএসপি (ডি এণ্ড টি) সুব্রত মণ্ডল, গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি প্রীতম বিশ্বাস, মেজ বাবু
উত্তম সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলাণ্টিয়াররা।
পুলিশ সুপার প্রত্যেককেই শান্তিপূর্ণভাবে পুজোর আনন্দ উপভোগ করার জন্য আহ্বান জানান।
অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় এবং আউসগ্রাম থানার উদ্যোগে থানা চত্বরে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি বস্ত্রদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
শিবির থেকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক সংস্থা ৮৫ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করে। রক্তদাতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ছিলেন।
পাশাপাশি বস্ত্রদান শিবিরে চার শতাধিক মানুষের হাতে শীতবস্ত্র ও নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় শিল্পীরা নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এখানে জেলা ও আউসগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আউসগ্রাম- ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চ্যাটার্জ্জী, স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার প্রমুখ।
বিধায়ক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি যেভাবে পুলিশ প্রশাসন নিজেদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে তাতে কোনো প্রশংসায় যথেষ্ট নয়। তাদের এই ভূমিকাকে সাধুবাদ জানাই।