eaibanglai
Homeএই বাংলায়বন্ধু'ফোটায় মেতে উঠল হাওড়ার দুই তরুণী

বন্ধু’ফোটায় মেতে উঠল হাওড়ার দুই তরুণী

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আন্দুল, হাওড়া- ভাইফোটায় একজন বোন তার ভাইকে ফোটা দেবে, মুখে তুলে দেওয়া হবে মিষ্টি, সঙ্গে উপহার – এটাই দস্তুর। কিন্তু যাদের ভাই নাই তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্যরকম ঘটে। তাইতো দ্যাখা যায় শাশুড়ি ভাইফোটার দিন তার বৌমাদের কপালে ফোটা দিচ্ছে। এবার হাওড়ার আন্দুলে দ্যাখা গ্যালো ভাইফোটার দিন দুই বন্ধু পরস্পরকে ফোটা দিচ্ছে।

একজন হলেন পেশায় সফল আইনজীবী এবং অপরজন গৃহবধূ। ব্যক্তিগত জীবনে এরা আবাল্য অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। প্রতিবছর ভাইফোটার দিন অন্যরা যখন ভাইকে ফোটা দেওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে তখন একরাশ বিষণ্নতা ওদের গ্রাস করে। কারণ ওদের কোনো ভাই নাই। ফলে ওরা কাউকেই ভাইফোটা দিতে পারেনা। একজন হলেন হাওড়ার মৌড়ীর সুদীপ্তা দাস চৌধুরী ও অপরজন কদমতলার শম্পা কুমার।

নিজেদের জন্মগত দুঃখ ভোলার জন্য গতবছর দুই বন্ধু এক অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঠিক হয় ভাইফোটার দিন সমস্ত আচার মেনে দুই বন্ধু পরস্পরকে ফোটা দেবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতবছর তারা প্রথম পরস্পরকে ফোটা দেয়। এবারও দুই বন্ধু ভাইফোটার দিন পরস্পরকে ফোটা দেওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে। ফোটা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা পরস্পরের মুখে মিষ্টি তুলে দেয়। এমনকি দ্বিপ্রাহরিক খাওয়ার আয়োজনও ছিল। দুই বন্ধুর এই অভিনব কর্মকাণ্ড দেখতে অনেকেই বাড়িতে হাজির হয়ে যায়। খুব খুশি সেইসব মেয়েরা যাদের ভাই নাই, ভাইফোটার আনন্দের দিন যাদের কাছে দুঃখের দিন হয়ে ওঠে।

সুদীপ্তা দেবী বললেন, ভাই না থাকায় ভাইফোটার দিন সত্যিই খুব খারাপ লাগত। সেটা দূর করার জন্য দুই বন্ধু পরস্পরকে ভাইফোটার দিন ফোটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আজ সত্যিই খুব ভাল লাগছে।

শম্পা দেবীর কণ্ঠে একই সুর শোনা যায়। তার বক্তব্য, যাদের ভাই নাই তারা আমাদের পথ অনুসরণ করতে পারেন।

হয়তো আগামী দিনে সুদীপ্তা-সোমার পথ আরও অনেকেই অনুসরণ করবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments