নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- চুরির মোবাইল বিক্রি নিয়ে বচসার জেরে ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার এক যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লকের মলানদিঘী এলাকার নয়া কাঞ্চনপুরে। বুধবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মলানদিঘী ফাঁড়ির পুলিশ, বৃহস্পতিবার তাকে মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
প্রসঙ্গত গত রবিবার ভাইফোঁটার দিন সন্ধ্যায় নয়া কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা বছর ৪৬এর ভাগচাষী চন্দ্রশেখর মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় একটি ধান জমি থেকে। মৃতদেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় এক জোড়া চপ্পল। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে দাবি করে সঠিক তদন্ত ও দোষীর গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। মৃতের পরিবারের থেকে জানা যায় এলাকারই বাসিন্দা রাহুল হাঁড়ির একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ উঠেছিল চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে। দেহ উদ্ধারের আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রশেখরকে ফোন করে হুমকিও দেয় রাহুল। তারপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান চন্দ্রশেখর।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কয়েকদিন আগে উত্তম হাঁড়ির বাড়ি থেকে তার মোবাইল চুরি করে চন্দ্রশেখর। সেই মোবাইল দু’হাজার টাকার বিনিময়ে এলাকারই যুবক রাজীবকে বিক্রি করে সে। গত শুক্রবার সেই কথা জানাজানি হয়ে যায়। এবং উত্তম হাঁড়ি রাজীবের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে নেন। এরপরই রাজীব চন্দ্রশেখরের কাছে টাকা ফেরৎ চায়। সেই টাকা ফেরত দিতে না চাওয়াই শনিবার সন্ধ্যায় নয়া কাঞ্চনপুরের ধান জমি সংলগ্ন রাস্তাতে দু’জনের বচসা শুরু হয়। ক্রমে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। ধানের গোছা গলায় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে চন্দ্রশেখরকে খুন করে রাজীব। এবং ধানজমিতেই দেহ ফেলে রেখে পালায়। ভুলবশত নিজের চপ্পল জোড়া সেখানেই ফেলে রেখে যায় রাজীব। পুলিশ ওই চপ্পলের সূত্র ধরে রাজীবকে ধরে ফেলে।
ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার পিছনে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।