নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুরে মহিলা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মনোনয়নপত্র দাখিল ঘিরে ব্যাপক অশান্তি। শাসক দলের দুষ্কৃতীরা মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছে না। মনোনয়ন পত্র কেড়ে নিয়েছে। এমনকি প্রার্থীদের মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। যদিও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এমনই অভিযোগে এদিন হুলুস্থুলু বেধে যায় সিটিসেন্টারে, মহিলা সমবায় ব্যাঙ্ক চত্বরে। প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকে সিপিএম কর্মী সমর্থকরা সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ডিএমসি মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দীর্ঘক্ষণ। এরপর সিপিএমের মহিলা কর্মীরা মিছিল করে দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা করতে গেলে সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ । শেষমেশ ২ টো নাগাদ মনোনয়ন জমার সময় শেষ হলে বিক্ষোভ উঠে য়ায়।
যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসীমা চক্রবর্তীকে এ বিষয়ক প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওনারা যে অভিযোগ করছেন আজকের ডিজিটালের যুগে তার কোথাও কোনো ছবি বা ভিডিও ওনারা দেখাতে পারবেন? আসলে মানুষ ওনাদের নেবেনা সেটা বুঝেই ওনারা লাইনে না দাঁড়িয়ে রাস্তায় বসে গেছেন।”
এদিন মহিলা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সিটিসেন্টার ও মহকুমা শাসক অফিস চত্বরে মোতায়েন ছিল দুর্গাপুর থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ ১২ পর নির্বাচন হতে চলেছে দুর্গাপুরের এই মহিলা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে। নির্বাচনে প্রার্থী পদ সংখ্যা ৩৩ টি। সমবায় ব্যাঙ্কের সদস্য সংখ্যা ৬৫০০ জন। গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয় মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া। আজ ছিল মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। আগামী ১৮ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচন আগামী ১ ডিসেম্বর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ৩৫ টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।
২০১২ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল এই ব্যাঙ্কে। এদিকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছিল ব্যাঙ্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে। এমনকি ব্যাংক একাউন্ট করতেও নানা রকম সমস্যা হচ্ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের একটিই একমাত্র মহিলা শাসিত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান।