নীহারিকা মুখার্জ্জী চ্যাটার্জ্জী, কলকাতা -: ‘To be or not to be’ সংশয়কে মাথায় নিয়ে শুরু হয় শারদীয়া পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠান। শুরুতেও আর এক সংশয় দ্যাখা দেয়- কারণ তখনও হলের অনেকগুলি আসন ফাঁকা ছিল। সব পূরণ হবে তো! অবশেষে সব সংশয় দূর করে সম্প্রতি উত্তর কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজ সন্নিকটস্থ ‘ধরভিলা’ হলে শতাধিক কবি-সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে দিনের আলোর মুখ দেখে ‘সংশপ্তক’ পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যা-১৪৩১। অনুষ্ঠান এগিয়ে চলার সাথে সাথে ভরে যায় সব আসন। দূর দূরান্ত থেকে বহু কবি-সাহিত্যিক এই আনন্দ যজ্ঞে সামিল হতে এগিয়ে আসেন।
বইটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছে বিশিষ্ট শিশু শিল্পী স্রোতস্বিনী ভট্টাচার্য। পত্রিকার ব্যাক কভার সুসজ্জিত করেছে আটজন শিশু শিল্পী। এইসব শিশু শিল্পীর হাত ধরেই এবার পত্রিকার মোড়ক উন্মোচিত হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন একগুচ্ছ কবি-সাহিত্যিক।উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শারদ স্মারক, সার্টিফিকেট ও সৌজন্য পত্রিকা। সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পরিচালক মণ্ডলীর সদস্যদের শারদ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কবিরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। কেউ কেউ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। প্রবীণ কবিরা কাব্য সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং কাব্যচর্চায় মনোনিবেশ করার জন্য নবীন প্রতিভাদের উৎসাহিত করেন। সাহিত্য সম্পর্কিত মননশীল আলোচনায় এক সময় অনুষ্ঠানটি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়। কিভাবে যে প্রায় চার অতিক্রম করে যায় সেটা কেউ টের পাননি। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শোভন ব্যানার্জ্জী।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। মাতৃভাষা দিবসের পুণ্য লগ্নে শোভন ব্যানার্জ্জীর হাত ধরে বাংলা কাব্য জগতে আবির্ভাব ঘটে ‘সংশপ্তক’ পত্রিকার। কবি-সাহিত্যিকদের লেখনি ও পরিচালন গোষ্ঠীর দক্ষতার গুণে অল্প সময়ের মধ্যেই পত্রিকাটি পাঠকের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পত্রিকাগোষ্ঠী আশাবাদী ভিন্ন স্বাদের সৃষ্টিতে ভরপুর সংখ্যাটি এবারও পাঠকের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় হবে।
সুদূর বার্ণপুর থেকে গিয়েছিলেন বিশিষ্ট কবি মুনমুন মুখার্জ্জী। তিনি বললেন, এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি পাওয়া যায়। এখানে স্বরচিত কবিতা পাঠের যেমন সুযোগ থাকে তেমনি সরাসরি পত্রিকার মোড়ক উন্মোচনে অংশগ্রহণ করা যায়। তখন সত্যিই খুব ভাল লাগে। উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শোভন বাবু বলেন- সংশয় দূর করে শারদীয় পত্রিকা প্রকাশ সত্যিই আনন্দের। ছাপার অক্ষরে কবিরা যখন নিজের নাম দেখেন তখন তাদের মধ্যে এক আলাদা অনুভূতির সৃষ্টি হয়।