সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– পুলিশি অভিযানে কুলটি থেকে উদ্ধার হল বিুপল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানার কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় বেআইনি অস্ত্রকারবারি গ্যাংয়ের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গোপন সূত্রে তারা জানতে পারে কুলটি থানার অন্তর্গত কল্যাণেশ্বরী মন্দির এলাকার একটি বাড়িতে আগেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছে। সেই মতো শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ অভিযান চালায় ও প্রচুর আগ্নেয়া ও গুলি উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১০টি পাইপগান, ৫০ রাউন্ড ৮ এমএম কার্তুজ, ৪ রাউন্ড ৯ এমএম কার্তুজ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভিনরাজ্য থেকেই এই আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে। কী উদ্দেশ্যে এত আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পশ্চিম) সন্দীপ কররা জানান, ঘটনায় ধৃত দুজন আগ্নেয়াস্ত্র আমদানির সঙ্গে তাদের যোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম মিনারুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম। দু’জনের বাড়িই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। তাঁরা অন্তঃরাজ্য বেআইনি অস্ত্রকারবারি গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
শনিবারই শেষ হয়েছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ও বাংলার ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ভোটের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য এত অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চলতি মাসের ৯ তারিখেই কলকাতায় বড়সড় অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।