নিজস্ব সংবাদদদাতা,দুর্গাপুরঃ- ডিএভি মডেল স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের কমলেন্দু মিশ্র এবং উপস্থিত ছিলেন ডিএভি ইনস্টিটিউট, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলের অধ্যক্ষর । অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানান, হোস্ট স্কুলের প্রিন্সিপাল কাম ডিএভি ইনস্টিটিউট, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলের রিজিওনাল অফিসার পাপিয়া মুখার্জি। স্বাগত বক্তব্যে তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের মেরুদন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি জানান, ১৯৭৫ সালে তিনটি কক্ষ, তিনজন শিক্ষক ও ত্রিশজন শিক্ষার্থীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল, যা এখন বটবৃক্ষে রূপান্তরিত হয়েছে।
এরপর আকাশে ওড়ানো হয় রঙিন বেলুন। স্বাগত সংগীত পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই উপলক্ষে বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী লোগোটি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পাপিয়া মুখার্জী এবং প্রতিটি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একজন করে প্রতিনিধি দ্বারা উদ্বোধন করা হয়, পরে সেই ব্যাচের সিনিয়র শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদেরকে এটি পরিয়ে দেন। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। এই ম্যাচটি তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম ম্যাচটি প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমান ছাত্রদের মধ্যে খেলা হয়, যেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরা ১-০ গোলে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরাজিত করে। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডে ১৯৯৮ ব্যাচ এবং ২০০০ ব্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ হয়, যেখানে ১৯৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ২-০ গোলে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে। প্রীতি ম্যাচের তৃতীয় রাউন্ডে ব্যাচ ২০০৩ ব্যাচের ছাত্র এবং স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে একটি ম্যাচ হয়েছিল, যাতে ২০০৩ ব্যাচের ছাত্ররা শিক্ষকদের ৩-০ গোলে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে। ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ ব্যাচের ছাত্র এবং ২০০৩ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে। এই খেলায় ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ১৯৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ২-০ গোলে পরাজিত করে ট্রফি জিতে নেয়। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কাম আঞ্চলিক কর্মকর্তা, ডিএভি ইনস্টিটিউট, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চল, পাপিয়া মুখার্জি বিজয়ী ও রানার আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। তিনি বলেন, “এটি একটি প্রীতি ম্যাচ। ম্যাচে জয়-পরাজয় আছে, কিন্তু এই ম্যাচে সবাই দারুণ উৎসাহ নিয়ে অংশ নিয়েছিল, এটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
এদিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্ররা বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত একজন ছাত্রের পিসীকে ৩৪০০০ টাকা সহায়তা প্রদান করে, কারণ তার বাবা-মা নেই৷ সে তার ঠাকূমা সাথে থাকে। ঠাকুমাও ক্যান্সারে আক্রান্ত, তাই পিসী তার দেখাশোনা করেন। পাপিয়া মুখার্জি প্রাক্তন ছাত্রদের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং তাদের এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।