সাধন মন্ডল ও পারিজাত মোল্লা কলকাতা:- বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শনিবার বিকেলে কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানে ‘পল্লিকবি ও আদালত’ শীর্ষক স্মরণিকা প্রকাশিত হলো। সেইসাথে ‘বর্ধমান সহযোদ্ধা’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।।পূর্ব বর্ধমান জেলার ‘কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি’র পরিচালনায় বিধান শিশু উদ্যানের অতুল্য ঘোষ স্মৃতি সভাগৃহে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টি আয়োজন করা হয়েছিল।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় , রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি দিলীপ কুমার বিশ্বাস, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি মাসুদ করীম।প্রমুখ। একাধারে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের পুত্র জ্যোৎস্না মল্লিক ছিলেন জেলা ও দায়রা বিচারক, কবির নাতি সুধেন্দ্রনাথ মল্লিক ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এর পাশাপাশি কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সিংহভাগ সদস্য আইনী পেশার সাথে যুক্ত। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ‘পল্লিকবি ও আদালত’ স্মরণিকা উপস্থাপনা। কবির পরিবার থেকে সাহিত্যিক মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পল্লী কবির স্মৃতিচারণায় তিনি তার ছোটবেলায় কবির সাথে মিলিত হওয়ার কথাগুলি তুলে ধরেন।কবিতা পাঠে ছিলেন সমরেন্দু চক্রবর্তী, এছাড়া তিনি পল্লী কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের স্মৃতিচারণা করেন। সেখ আব্দুল জব্বার, দিলীপ কুমার বিশ্বাস, প্রমুখ। এদিন আইনী জনসচেতনতা কর্মসূচি পালনে সু-পরিচিত ‘বর্ধমান সহযোদ্ধা’র সংগঠনের তরফে মাননীয় বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত কে ‘পূর্ব বর্ধমান জেলা রত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয়। কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির তরফে মোল্লা জসিমউদ্দিন, বৈদূর্য ঘোষাল,সোমনাথ ভট্টাচার্য, প্রতিমা হালদার জানান -” পল্লিকবির ৫৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা স্মরণিকা প্রকাশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলাম”। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত তার দীর্ঘ বক্তব্যে কবির কর্মজীবন উপস্থিত গুণীজনদের কাছে তুলে ধরেন। এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক বিশিষ্ট মানুষজন হাজির হয়েছিলেন।