eaibanglai
Homeএই বাংলায়আবর্জনা পরিস্কারকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড আসানসোলে

আবর্জনা পরিস্কারকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড আসানসোলে

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– আবর্জনা পরিস্কারকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড আসানসোলে। কংগ্রেস নেতা ও তৃণমূল কাউন্সিলরারের মধ্যে বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র চলল দুপক্ষের মধ্য়ে হাতাহাতি। অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

রবিবার আসানসোল পুরনিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সেনরেল রোডের কল্যাণপুর হাউজিংয়ের অনন্যা কমপ্লেক্সের সামনে ময়লা- আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন কমপ্লেক্স সম্পাদক তথা কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুইতন্ডির নেতৃত্বে সেনরেল রোডের একটি লেনে আবর্জনা ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আবাসনের বাসিন্দারা। এরফলে সেই লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় আসানসোল দক্ষিণ থানা পিপির পুলিশ ও এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বোরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাস। এরপরই কাউন্সিলর ও কংগ্রেস নেতার মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। অনিমেষ দাস জানতে চান, তারা কেন রাস্তায় ময়লা – আবর্জনা ফেলেছেন? তারা একে অপরের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কাউন্সিলারের অনুগামী ও বিক্ষোভকারী আবাসিকদের ধাক্কাধাক্কা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুইতন্ডিকে আবর্জনার মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের সামনেই চলে এই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।

কংগ্রেস নেতা ও বিক্ষোভকারী আবাসনের বাসিন্দারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে এদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধাক্কাধাক্কি ও দুর্ব্যবহার অভিযোগ তুলেছেন। কমপ্লেক্স সোসাইটির সম্পাদক ও বিক্ষোভকারী আবাসিকদের অভিযোগ, আসানসোল পুরনিগমের সাফাই কর্মীরা বছরে মাত্র একবার তাদের কমপ্লেক্সের ঝোপঝাড়, গাছের ডাল ও আবর্জনা পরিষ্কার করে থাকেন। তাদের দাবি দুর্গাপুজোর সময় আবাসন এলাকা পরিস্কার করার কথা থাকলেও প্রায় তিন মাস পার হয়ে গেলেও আবর্জনা পরিস্কারের কাজ হয়নি। এমনকি পুরসভাকে বার বার জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই অবশেষে এদিন তারা আবর্জনা রাস্তায় ফেলে পথ অবরোধ করতে বাধ্য হন।

অন্যিদকে কাউন্সিলর অনিমেষ দাস এদিন অভিযোগের সুরে বলেন, “বাসিন্দারা তো মেয়রকে তাদের সমস্যা ও অসুবিধার কথা বলতে পারতেন। তারা তা না করে, রাস্তায় আবর্জনা ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা ঠিক করেননি।” যদিও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর কাউন্সিলর অনিমেষ দাস নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আবর্জনা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments