সঙ্গীতা চৌধুরাঃ- কর্ম ক্ষেত্রে হোক অথবা শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মানুষ ছাত্রজীবনে অথবা কর্মী হিসেবে সব সময় সফলতা পেতে চান, কিন্তু সফলতার আস্বাদ পাওয়া কি এতই সহজ? মানুষ কি চাইলেই সবসময় সফল হতে পারেন? মানুষের চাওয়ার ওপর কি নির্ভর করে সফলতা এবং ব্যর্থতা? নাকি মানুষের প্রচেষ্টার ওপরই সবটাই নির্ভর করে? আসলে মানুষ যখন জীবনে বড় কিছু কাজ করতে চান তখন তার মনের মধ্যে থেকে একটি জিনিস সব সময় মেনে নেওয়া উচিত, কিন্তু আমরা অনেকেই অভিভাবকের থেকে সেই শিক্ষা পাই না। যে কারণে বড় হওয়ার চেষ্টা করলেও জীবনে বড় কিছুই আর করে উঠতে পারি না। কী সেই শিক্ষা? যার অভাবে আমরা আর বড় হয়ে উঠতে পারি না? চলুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেব সেই বিষয়।
একবার একজন প্রশ্ন করেছিলেন,“জীবনে বড় কিছু করতে ইচ্ছা হয়। বারবার সন্দেহ হয় সফল হব কিনা। আপনি কোন পথে বড় বড় কাজ করেছেন?” এর উত্তরে স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ বলেন, “তোমার সাথে আমার পার্থক্য শুধুমাত্র এক পয়েন্টে। তুমি ব্যর্থতা চাওনা। আর আমি ব্যর্থ হলে লজ্জা পাইনা। ব্যাস অন্য কোনো পার্থক্য নেই। আমি ৫টা কাজ করলে ৪টাতেই ব্যর্থ হই। কিন্তু ঐ সফল কাজে যতটুকু শক্তি পাই তার জোরে আরো ৫টি কাজ করি। পরের বারও ৪টিতে ফেল্, কিন্তু তখন আগের ও পরের ব্যর্থতা সত্ত্বেও সাফল্যের সংখ্যা ২ হয়ে গেছে। এভাবে কয়েক বছরে ৫০টি নতুন কাজ চেষ্টা করে ১০টা সাফল্য। কিছু লোক এ দেখেই আমাকে বড় বলে ভাবে। এই হলো আমার রহস্য। মানুষ আমার ৪০টা ব্যর্থতার কথা ভুলে যায়, কারণ তাদের চোখের সামনে ১০টা সাফল্যই বড় হয়ে দেখা দেয়। তোমার সমস্যা কী? যুদ্ধ শুরুর আগেই তুমি সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণ করে দাও। আর আমি মার খেয়েও লড়াই চালিয়ে যাই। ব্যর্থতাকে ভয় বা লজ্জা পেলে জীবনে বড় হওয়া যায় না।”