সৌভিক সিকদার, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান-: এমনিতেই সারাবছর চাহিদার তুলনায় রক্তের যোগান কম। তার উপর বিভিন্ন কারণে কিছুদিন যাবৎ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সেভাবে রক্তদান শিবির হয়নি। ফলে রাজ্যের ব্লাড ব্যাংকগুলিতে দ্যাখা যাচ্ছে রক্তের ঘাটতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতীতের মত এবারও এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি।
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শিরিষতলা সংলগ্ন বিষাণ অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে ২২ শে ডিসেম্বর স্কুলমোড়ের একটি বেসরকারি লজে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার উদ্যোগে শিবির থেকে মোট ৩৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন মহিলা। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক রক্তদাতার হাতে একটি করে শংসাপত্র ও নতুন বছরের ক্যালেণ্ডার তুলে দেওয়া হয়। রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বাস্কেট দলের সদস্যা সোমা ঘোষ, ক্লাব সভাপতি মহেন্দ্র প্রসাদ ঘোষ, শান্তনু গুপ্ত, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত দাস, সজ্ঞীব বাছার, প্রশান্ত পাল, দীপক মাঝি, শিব প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শিশির কুমার ঘোষ সহ ক্লাব সম্পাদক সৌগত গুপ্ত সহ আরও অনেকেই। কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সোমা এই নিয়ে দু’বার রক্ত দিলেন। তিনি বললেন, বিজ্ঞান এখনো রক্তের বিকল্প আবিস্কার করতে পারেনি। একমাত্র মানুষের রক্ত একজন মুমূর্ষু রুগীর প্রাণ বাঁচাতে পারে। তাই সবার স্বার্থে সমস্ত রকম কুসংস্কার দূরে সরিয়ে রেখে তিনি সাধারণ মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করার জন্য আহ্বান জানান। অন্যদিকে ক্লাব সম্পাদক সৌগত গুপ্ত বললেন, আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় যেমন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকি তেমনি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করে থাকি। আমাদের লক্ষ্য কোনো রুগী যেন রক্তের অভাবে সমস্যায় না পড়ে।