নীহারিকা মুখার্জ্জী চ্যাটার্জ্জী, কলকাতা -: সাহিত্যকে ভালবেসে কলকাতার মহামায়া রুদ্র গড়ে তোলেন ‘রুদ্র সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’। লক্ষ্য সুস্থ সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা। পাশে পেলেন একগুচ্ছ সাহিত্যপ্রেমীদের। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় এবং একগুচ্ছ কবি-সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে গত ২২ শে ডিসেম্বর কলকাতার বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাগৃহে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের আলোর মুখ দেখল পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রথম বার্ষিক সংকলন ভালোবাসার বন্ধন ‘রুদ্রাগ্নী’। সংকলনটিতে ৬২ জন কবি-সাহিত্যিকের লেখা ভিন্ন স্বাদের কবিতা ও অনুগল্প আছে। প্রতিটি লেখা কাব্যপ্রেমী পাঠকের মন ভরিয়ে দেবে।
উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সংকলন প্রকাশের অনুষ্ঠান। এরপর উপস্থিত কবিরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। সাহিত্য সম্পর্কে প্রবীণ কবিদের মননশীল আলোচনা অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
এরআগে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে উপস্থিত অতিথিদের যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ পাল, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ড.শর্মিষ্ঠা দেব, কবি অসিত কুন্ডু, সঞ্চিতা কানথাল, কিঙ্কর বেজ, বিশিষ্ট নাট্যকর্মী ও যাত্রা শিল্পী উত্তম ঘোষ, রাজনারায়ণ চৌধুরী, দুর্গা শঙ্কর রথ, প্রবীর আচার্য্য, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শ্রাবন্তী রায় প্রমুখ। অন্যদিকে পত্রিকা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদিকা মহামায়া রুদ্র, সহ সম্পাদিকা শকুন্তলা পাল, জয়ন্তী রুদ্র, রাজীব কুমার নস্কর, উত্তম রুদ্র এবং মুখ্য উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার আচার্য্য সহ আরও অনেকেই।
উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথি এবং পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রত্যেক সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মহামায়া দেবী বললেন, এরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিতেন তাহলে আমার পত্রিকা প্রকাশের স্বপ্ন পূরণ হতোনা। তিনি বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শকুন্তলা পালের প্রতি।