eaibanglai
Homeএই বাংলায়যাত্রীবাহী বাস পিষে দিল বাইক চালককে

যাত্রীবাহী বাস পিষে দিল বাইক চালককে

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– যাত্রীবাহী বাসের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বাইক চালকের। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির চাঁদা মোড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনার পর এলাকার ক্ষুব্ধ মানুষজন মৃত বাইক চালকের দেহ আটকে রেখে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আসানসোলের উত্তর থানার সেনরেল বি ব্লকের বাসিন্দা কল্যান কুমার মণ্ডল (৬৭) এদিন দুপুরে মোটরবাইক নিয়ে আসানসোল থেকে রানিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে জামুড়িয়ার চাঁদা মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় এক যাত্রী বোঝাই বাস পেছনের দিক থেকে এসে তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার । খবর পেয়ে শ্রীপুর ফাঁড়ি ও জামুড়িয়া ট্রাফিক গার্ড পুলিশ এলাকায় পৌঁছয় এবং ঘাতক বাসটিকে আটক করে।

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা চাঁদা মোড় সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

প্রসঙ্গত, চাঁদা মোড়ের এই এলাকাটি চৌমাথা রাস্তা। এই চৌমাথা রাস্তার কারণে হঠাৎ করেই এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায় গাড়ি চলে আসায় এই মোড় সংলগ্ন এলাকায় বহু ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার ঘটে থাকে। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তার জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি এলাকার দুই শাসক দলের নেতা অশোক পাল ও মনোরঞ্জন বন্দোপাধ্যায় দাবি করেন, চাঁদা মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কোন কাজ করেন না। বরং তারা সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত শুধু গাড়ি থেকে টাকা তোলার কাজ করেন। যে কারণেই ওই এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।

এছাড়া এলাকার আন্ডারপাসটি ভুল জায়গায় করা হয়েছে বলেও দাবি এলাকার মানুষজনের। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments