eaibanglai
Homeএই বাংলায়সিভিক ভলান্টিয়ারের শেষ যাত্রায় নামল মানুষের ঢল

সিভিক ভলান্টিয়ারের শেষ যাত্রায় নামল মানুষের ঢল

সংবাদদাতা,বাংকুড়াঃ- এক সিভিক ভলান্টিয়ারের শেষ যাত্রায় নামল মানুষের ঢল। শেষ শ্রদ্ধা জানাল সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ আধিকারিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ঘটনা বাঁকুড়ার খাতরা মহকুমার রাইপুর ব্লকের। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম স্বদেশ নাদ, বয়স ৩৫ বছর। তিনি রাইপুরের বকুলতলা মোড়ের বাসিন্দা ছিলেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায় গত রবিবার স্বদেশ ডিউটিতে থাকাকালীন সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ বাইকে করে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাইপুর এলআইসি মোড়ের সন্নিকটে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কার্যালয়ের সামনে তার বাইকটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় উল্টোদিক দিয়ে আসা একটি বাইক সজোরে তাকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উভয়কেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। স্বদেশের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে ফের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বাঁকুড়া থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে আরামবাগের কাছে গাড়িতেই মৃত্যু হয় তার।

ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার বিকেলে মৃতদেহ রাইপুরে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় জমান স্বদেশকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন রাইপুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, রাইপুর থানার আইসি পলাশ কুমার বারিক, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পাপ্পু দত্ত সহ এলাকার অগণিত মানুষ।

স্থানীয়রা জানান রাইপুর এলাকা স্বদেশ ভালো মানুষ হিসেবে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। আপদে বিপদে সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সময় বের করে ওই দোকানেও অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন তিনি। মা, বাবা, স্ত্রীর পাশাপাশি তার একটি ১১ বছরের কন্যা ও ৮ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন স্বদেশ। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু এদিন স্বেদেশের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments