eaibanglai
Homeএই বাংলায়আসানসোলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র উৎসব

আসানসোলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র উৎসব

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে আসানসোলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চারদিনের আসানসোল সংস্কৃতি উৎসব ও ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ফোরামের সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বৈঠকে সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য ফোরামের পদাধিকারী, সদস্য, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য জগতের মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।

আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। রবীন্দ্র ভবনের বাইরে একটি মুক্ত মঞ্চ করা হবে। যেখানে এই অঞ্চলের শিল্পীদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা তাঁদের শিল্পী সত্তাকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন। অন্যদিকে রবীন্দ্র ভবনে চলবে চলচ্চিত্র উৎসব। এই চলচ্চিত্র উৎসবে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ডকুমেন্টারি ও শর্ট ফিল্ম করেন তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মোট ৩৬/৩৭টির চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নির্বাচিত ফিচার ফিল্ম এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক প্রয়াত তপন সিনহার শতবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। একইভাবে সম্প্রতি প্রয়াত অভিনেতা মনোজ মিত্রকেও শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রথম ছবি হিসেবে দেখানো হবে তপন সিনহার বিখ্যাত ছবি ” গল্প হলেও সত্যি “।

চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী তথা বিখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। তাঁকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিতও করা হবে। এছাড়া অন্যান্য ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো আসানসোল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও একটি মাস্টার ক্লাসের আয়োজন করা হবে। যেখানে ফিল্ম প্রোডাকশন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা নতুন ফিল্ম মেকারদের ফিল্ম প্রোডাকশন সম্পর্কে অবহিত করবেন। এমনকি সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটও এই পুরো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।

উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শের পাশাপাশি থাকবে কবিতা পাঠ, চিত্রাঙ্কন, এবং আবৃত্তির মতো সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। এদিন ফোরামের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান অঞ্চল-আঞ্চলিকতাকে গুরুত্ব দিতে সংগীত ও নৃত্যশিল্পী, চিত্রশিল্পী সহ আসানসোলের সাহিত্যিক, কবি, বুদ্ধিজীবীদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা তুলে ধরার লক্ষ্যে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেথে এই চলচ্চিত্র উৎসবে সে দেশের কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শিত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানা তিনি। তবে একইসঙ্গে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষজনকে আসানসোল সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র উৎসবকে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments