জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গণপুর, পূর্ব বর্ধমান -: মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম হলো গণপুর। গ্রামের মধ্যে আছে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সর্বোপরি চাণক গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় এই গ্রামেই অবস্থিত। গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে একটি ঢালাই রাস্তা। এই রাস্তা ধরেই আট-ন’টি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করে। একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য এই রাস্তা ধরেই পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যায়। গুসকরা-নতুনহাট রাজ্য সড়ক ও এনএইচ-টু বি সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা হিসাবেও এটি পরিচিত। কোনো কারণে জাতীয় সড়কে বিঘ্ন ঘটলে গাড়িগুলি বিকল্প রাস্তা হিসাবে গণপুরের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করে। এককথায় বলা চলে গ্রামের ভিতরের রাস্তা হলেও সবদিক দিয়েই এর গুরুত্ব অপরিসীম।
অথচ জালপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হওয়া প্রায় দেড় কিমি. ব্যাপী রাস্তাটি চরম বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েক বছর আগে ঢালাই রাস্তার উপর পিচ করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খুবই নিম্নমানের কাজ হওয়ার জন্য অল্প সময়ের মধ্যে পাথর উঠে যায়। এখন গোটা রাস্তা জুড়ে পড়ে আছে পাথর। দেখলে মনে হবে রাস্তা নয় পাথরের উপর দিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে। ফলে দু’চাকা গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খালি পায়ে হেঁটে চলতে চরম সমস্যা হয়। মাঝেমাঝে অঘটনও ঘটে যায়। জল-জীবন মিশন প্রকল্পের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করা হলে রাস্তাটির অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে থাকলেও এখনো এটি মেরামতের জন্য কোনো সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি রাস্তার ধারে থাকা কয়েকটি পুকুরের পাড় এমনভাবে ক্ষয় হচ্ছে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে রাস্তার একটা বড় অংশ পুকুরের গ্রাসে চলে যাবে। তখন রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে।
পঞ্চায়েত সদস্য মধুসূদন মাজি বললেন, রাস্তাটি সম্পর্কে দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আশাকরি দ্রুত মেরামত করা হবে।
গ্রামের অন্যতম প্রবীণ সদস্য জনার্দ্দন জ্যোতি বললেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। সবার কথা ভেবে রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।




