নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- নানা রোগ দুর্ঘটনার চিকিৎসার পাশাপাশি প্রসূতি বিভাগের সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন মহকুমার চারটি ব্লকের সাধারণ মানুষ। এতদিন প্রসূতি বিভাগে শয্যা সংখ্যা ছিল ৭০ টি। যা প্রয়োজনের ছিল অনেকটাই কম। ফলে সমস্যায় পড়তে হত অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের। তাই উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। সেই মতো দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি শিল্প গোষ্ঠী এগিয়ে আসে সহযোগিতায়। নতুন শয্য়া সংযোজন করা হয় প্রসূতি বিভাগে। আগামী দিনে এই শয্য়া সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪০টিতে।
শনিবার যার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত, মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মন্ডল সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পাশাপাশি মহিলা বিভাগের সম্প্রসারণের কাজের শিলান্যাসও হয় এদিন। একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের সিআরএস প্রকল্পে এই কাজ করবে বলে জানা গেছে।
এদিন মন্ত্রী বলেন,”হাসপাতালের মান আরও উন্নয়ত হবে বলে আমরা আশাবাদী।” আসানসোল দুর্গাপুর উদয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, “হাসপাতালের এখন পরিষেবা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জেলা হাসপাতালগুলির মত এই হাসপাতালেও ব্লাড সেপারেশন ইউনিটও তৈরি করা হবে ।”

অন্যদিকে এদিন দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতাল চত্বরে মদ্যপ অবস্থায় ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি ও হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনদের গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনায় ছাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছয় এবং ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়।





