নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতাঃ- কলকাতার বিশ্ব বাংলা মেলা ময়দানে চলছে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী “মেডিক্যাল এক্সিবিসন ২০২৫”। দেশ-বিদেশের বহু নামী সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেছেন এই প্রদর্শনীতে যা এই সম্মেলনকে এক আন্তর্জাতিক মাত্রা দিয়েছে ।
এই প্রদশর্নীতে একাধারে যেমন বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থার দ্বারা আধুনিক প্রযুক্তি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও গবেষণার বিষয়ে নতুন নতুন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি এ বছরের প্রদর্শনীতে ভারতীয় সংস্থাগুলির পাশাপাশি চীন, জাপান ও জার্মানির মতো দেশের বহু নামী সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁরা শুধুমাত্র তাদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি প্রদর্শন করেই ক্ষান্ত থাকেননি, বরং ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্মাণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে।
জার্মানির একটি স্বনামধন্য সংস্থার প্রতিনিধি বলেন, “ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে খুব দ্রুত উন্নত হচ্ছে। আমরা এখানে নতুন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে এই অগ্রগতিকে আরো ত্বরান্বিত করে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” জাপানের একটি সংস্থা জানায়, আগামীদিনে, বিশেষ করে রোবোটিক সার্জারি ও এআই-ভিত্তিক চিকিৎসা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে তাঁরা কাজ করতে আগ্রহী।
উদ্যোক্তারা জানান এই প্রদর্শনীতে হাসপাতাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট, টেলিমেডিসিন, রোবোটিক সার্জারি, ডিজিটাল হেলথ, এআই-ভিত্তিক রোগ নির্ণয় ব্যবস্থা, চিকিৎসা সংক্রান্ত সফটওয়্যার সহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে। বিশ্বখ্যাত সংস্থাগুলির পাশাপাশি ভারতীয় স্টার্টআপ ও রিসার্চ সংস্থাগুলিও তাদের নতুন আবিষ্কারগুলো এখানে প্রদর্শন করছে। এছাড়া, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, বহু চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলিও অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, চিকিৎসার উন্নত মান ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আজ শেষ দিন। শনিবার এর উদ্বোধন করেন শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের সভাপতি মলয় পীট।
পরিশেষে এক কথায় বলা যেতে পারে “মেডিক্যাল এক্সিবিসন ২০২৫” ভারত ও আন্তর্জাতিক চিকিৎসা ক্ষেত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে উঠেছে। যা আগামীদনে ভারতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে এক নতুন দিশা দেখাবে। এমনটাই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।





