সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– দুর্গাপুরের কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বুধবার আসানসোল আদালতে আত্মসমর্পণ করল অভিযুক্ত চার যুবক। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। পাশাপাশি এদিন নির্যাতিতা তরুণী আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র আগের দিন বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে দুর্গাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি নির্যাতিতার মা আসানসোল মহিলা থানায় পুরো বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল অভিযুক্তরা।
জানা গেছে কিশোরী দুর্গাপুরের বাসিন্দা হলেও কিশোরীর মামাবাড়ি বার্নপুরের প্রেমনগরে। গত তিন বছর ধরে সেখান থেকেই তিনি আসানসোল গার্লস কলেজে পড়াশুনা করছেন। তবে গত তিন-চার মাস ধরে তিনি দুর্গাপুরে নিজের বাড়িতেই থাকছিলেন৷ এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মামাতো বোনের ডাকে তিনি আবার বার্নপুরে যান। এবং মামার তিন মেয়ে এবং প্রতিবোশী চার যুবকের সঙ্গে বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে ঘুরতে যান। অভিযোগে সেখানে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায়, পরে চার যুবকের জেলে থাকা অবস্থায় টিআই প্যারেড করানো যায় কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। তেমন হলে, আগে টিআই প্যারেডের মধ্যে দিয়ে সনাক্ত করিয়ে নেওয়ার পরে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে।





