সৌভিক সিকদার, মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান-: কারও খ্যাতি বাংলার সীমা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বের দরবারে প্রবাসী বাঙালিদের ঘরে ঘরে। কেউ আবার খুব সাধারণ হয়েও মানুষের মঙ্গলের জন্য অসাধারণ সব কাজ করে চলেছেন। এই রকম একঝাঁক কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সমাজসেবী, আইনজীবী, সাংবাদিক সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির উদ্যোগে ৩ রা মার্চ পল্লীকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের ১৪৩ তম জন্মদিন পালিত হলো কবির জন্মভিটে কোগ্রামের ‘মধুকর’ প্রাঙ্গনে এবং অনুষ্ঠিত হলো ‘কুমুদ সাহিত্যমেলা’। প্রসঙ্গত মেলায় আগত অতিথিদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কবির বাড়ির সামনে স্থাপন করা হয়েছে কবির একটি আবক্ষ মূর্তি। কমিটির উদ্যোগে একটানা ১৫ বছর ধরে এই মেলা হচ্ছে।
এবারও চেনা ছকের মেলার বাইরে এখানে কবির স্মৃতিচারণার সঙ্গে সঙ্গে চলে স্বরচিত কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন। গুরুত্ব দেওয়া হয় সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে।
মেলা কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত প্রতিটি ব্যক্তির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তাদের হাতে স্মারক হিসাবে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতি বিজড়িত মেমেণ্টো তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ কয়েকজন সাংবাদিকের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
এবার কুমুদ সাহিত্য মেলারযুগ্ম উদ্বোধক হিসাবে ছিলেন জনাব আনসার মন্ডল (এজিপি – কলকাতা হাইকোর্ট) এবং শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় (সাধারণ সম্পাদক – রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি)। যুগ্ম প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পদ্মশ্রী প্রাপক লোকসংগীত শিল্পী শ্রী রতন কাহার। উপস্থিত ছিলেন দিলীপ বিশ্বাস, জনাব শফিকুল ইসলাম দুলাল, সমরেন্দু চক্রবর্তী, মধুসূদন ঘোষ, সঞ্জয় ঘোষ, সোনালী কাজি, ড. রমজান আলি, সমীর গোস্বামী, চন্দ্রশেখর বাগ, ঋষিগোপাল মন্ডল সহ বিভিন্ন পেশার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী দীপঙ্কর সমাদ্দার অঙ্কিত কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের ‘লাইভ পেইন্টিং’ ছবিটি পদ্মশ্রী রতন কাহারের হাতে তুলে দেন মেলা কমিটির পক্ষে মোল্লা জসিমউদ্দিন।
মেলা কমিটির পক্ষ থেকে ১৫ জনের হাতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতি বিজড়িত ‘রত্ন সম্মান’ তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ ৩০ জন সাংবাদিকের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপস্থিত প্রতিটি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন বললেন – সবার সহযোগিতায় এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ধীরে ধীরে এই সাহিত্যমেলার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আশাকরি আগামী দিনে এই সাহিত্যমেলা আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।





