সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– ভুল চিকিৎসায় মরণাপন্ন অবস্থা স্বামীর। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সিএমওএইচের দ্বারস্থ হলেন রোগীর স্ত্রী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় আসানসোলের রেলপারের ধাদকার বাসিন্দা সাধন পাল গত জানুয়ারি মাসের শেষে আসানসোলের কালিপাহাড়ির অদূরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে পাইলস অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাধনবাবুর মেয়ে পূজা জানান, আসানসোলের ওই বেসরকারি হাসপাতালের অবহেলার কারণে তার বাবা দু’বার ব্রেন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও তাদের বিষয়টি জানানো হয়নি। পরে অন্য এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে পরীক্ষার পর জানানো হয় যে সাধনবাবু ইতিমধ্যেই দু’বার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি সাধনবাবু। ফলে চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করতে গিয়ে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন বলে দাবি পরিবারের। এই অবস্থায় বেসরকারি ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার খরচ বহন ও লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন রোগীর পরিবার। তাদের মতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো রোগীর সঙ্গে যাতে এমনটা না ঘটে, তার ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে দুদিন আগেই সাধনবাবুর পরিবারের সদস্যরা আসানসোলের ওই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এরপর গতকাল তাঁর স্ত্রী বন্দনাদেবী পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের করেছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার ও জামুড়িয়ার থানার ওসির কাছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।





