সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে শুক্রবার রাতে দলের ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২৫টি জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এর মধ্যে নতুন নাম ১৭টি। আর এই নতুনদের মধ্যে রয়েছেন দেবতনু ভট্টাচার্য। আসানসোলে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দেবতনু ভট্টাচার্য বিজেপিতে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে রাজ্য কমিটির সদস্য। তাঁর মা প্রয়াত কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বিজেপির রাজ্য নেত্রী ছিলেন। বাম আমলে বহু লড়াই আন্দোলন করেছিলেন কৃষ্ণাদেবী। তাঁর ছেলে দেবতনু আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য ছিলেন। হিন্দু জাগরন মঞ্চের নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন এই দেবতনু। বলতে গেলে পারিবারিক সূত্রেই তিনি প্রথমে আরএসএস ও পরে বিজেপির সঙ্গে দল করা শুরু করেন।
এদিকে, নতুন দায়িত্ব পেয়ে শনিবার সকালে আসানসোলের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া দলের জেলা কার্যালয়ে পৌঁছে যান দেবতনু। তাঁকে সেখানে স্বাগত জানান বিদায়ী সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। দলের তরফে দেবতনু ভট্টাচার্যকে আবীর মাখিয়ে ও পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। করানো হয় মিষ্টিমুখ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
এদিন সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দেন নতুন সভাপতি এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এখন থেকেই বুথ স্তরে কাজে নেমে পড়ার কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি এদিন তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আগামী নির্বাচনে আমাদের লক্ষ্য হবে বুথ রক্ষা করে সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা করা। মানুষ ভোট দিতে পারলেই ২৬ এ সরকার পরিবর্তন হবেই। এখন আমাদের লক্ষ্য হলো সাধারণ ভোটারদের কাছে যাওয়া। তাদেরকে দুটো জিনিস বোঝানো। প্রথমটা হলো, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে, বিজেপির ভিশন কি। তারা বাংলার মানুষের জন্যে কি করতে চায়। আর দ্বিতীয়টা হলো , রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের অন্যায় অবিচার সাধারণ মানুষদের মনে করানো।”
প্রসঙ্গতঃ, বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে বিগত বছরগুলিতে, আসানসোল সাংগঠনিক জেলায় নির্বাচনে পদ্ম শিবিরকে হারের মুখে পড়তে হয়েছে। শেষ লোকসভা নির্বাচনে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করেও, আসানসোলের গড় ধরে রাখতে পারেনি পদ্ম শিবির। এখন জেলা সভাপতি বদল করে ছাব্বিশের নির্বাচনী লড়াইয়ে কি নিজেদের সংগঠন শক্ত করতে পারবে গেরুয়া শিবির? সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে আসানসোলাসীর মধ্যে।





