নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শুভ মহালয়া। ভোড় ৫ টা। অন্য দিনের ভোরের তুলনায় এই ভোরবেলা অনেকটাই আলাদা। একটা সময় ছিল আজকের এই ভোর পাঁচটা মানেই রেডিওতে বেজে উঠত বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের গলায় মহালয়ার সুর। আট থেকে আশি সকলেই রেডিও অন করে বসে পড়তেন বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের সেই আওয়াজ শোনার আশায়। কারণ এই মহালয়ার দিনেই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের শুভ সূচনা। মহালয়া শেষ হতে না হতেই আবার শুরু হয়ে যায় তর্পণ। বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে হাজার হাজার পূণ্যার্থী ভীড় জমান। সমস্ত অশুভ শক্তিকে বিনাস করে শুভ শক্তির সূচনার আশায়। দাদু-ঠাকুমাদের সেই সময় ছিল একটা সময়। এখনও রেডিও কানের সামনে রেখে ১৯৪০ সাল থেকে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহালয়া শুনে আসছেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের বাসিন্দা রঞ্জন দাস। বয়স ৯৫ হলেও সেই চিরাচরিত ধারাকে আজও অক্ষুন্ন রেখেছেন তিনি।
তবে এখন বর্তমান প্রজন্মের কাছে এইসবই হাস্য কৌতুক। রেডিও জায়গা কেড়ে নিয়েছে ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপের মত সোশ্যাল মিডিয়া। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির যতই উন্নতি ঘটুক, পুরাতন সেই রীতি এখনও বহু মানুষের আড়ালে আজও সুরক্ষিত আছে।