নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুর:– দুর্গাপুরে জমি মাফিয়া ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছিল একটি ক্লাব। যদিও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর ওই জমিটি সরকারি জমি হিসেবে চিহ্নিত করায় সেই চেষ্টা ভেস্তে গেছে বলে দাবি করেছেন ক্লাব সদস্যরা। ঘটনা দুর্গাপুর নগর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাতিনপল্লী এলাকার।
প্রসঙ্গত গত ৯.২.২০২৪ তারিখ রাতে, স্থানীয় একটি জমির দখলদারি ঘিরে স্থানীয় মিলন মন্দির সংঘ ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে এলাকার জমি-বাড়ির ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উভয় পক্ষ থেকে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং পৌর কর্পোরেশন প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য রাখি তিওয়ারির দ্বারস্থ হলে তিনি তদন্তের আশ্বাস দেন । এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকের কাছে জমিটির তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দেন। সম্প্রতি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের তরফে রাখি তিওয়ারিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই বিতর্কিত জমিটি সরকারি জমি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ওই জমিতে বর্তমানে একটি শিশু উদ্যান রয়েছে। যেখানে এলাকার শিশুরা খেলাধুলা করে। ওই জমিটিতে পুরসভার পক্ষ থেকে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব দেন প্রাক্তন কাউন্সিলর রাখি তিওয়ারি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তাবে রাজি হয় ও এনওসি দেয়। এরপর রাখি তিওয়ারি দুর্গাপুর পৌর কর্পোরেশন বোর্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য কাগজপত্র জমা দেন। ক্লাব সদস্য়দের অভিযোগ স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ শুরু হতেই স্থানীয় কিছু জমি বাড়ির ব্যবসায়ী এলাকার একটি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ওই জমিটি তাদের বলে দাবি করে ও পুরনিগমে অভিযোগ দায়ের করে। যার কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের কাজ আটকে যায়। পরে তারা জমিটির দখল নিতে এলে ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষও বাধে।
অবশেষে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর জমিটি নিয়ে তথ্য দেওয়ায় জমি মাফিয়াদের চক্রান্ত ভেস্তে গেছে বলে দাবি করেছেন মিলন মন্দির ক্লাবের সচিব সুশীল কুমার সাহু। এবার নতুন করে ওই জমিটিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর রাখি তিওয়ারি।





