নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– আজ (৭, এপ্রিল) থেকে থাইল্যান্ডের রাজধানী শহর ব্যাংককে শুরু হচ্ছে কিকবক্সিং বিশ্বকাপ প্রতিযোগীতা। আর এই বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে দুর্গাপুরের ছোট্ট মেয়ে আরাধ্যা ধীবর। প্রসঙ্গত গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নিউ দিল্লীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় তিনটি স্বর্ণপদক পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল এই সোনার মেয়ে।
নিউ দিল্লী ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্ট থেকে টিম ইন্ডিয়ার (কিকবক্সিং) মোট ২২জন খেলোয়াড়, ৩জন কোচ, ফিজিও, টিম ম্যানেজার সহ মোট ৩১জনের প্রতিনিধি থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আরাধ্যা ধীবর এই টিমের সবচেয়ে খুদে এবং একমাত্র সদস্য যে বিশ্বকাপের চাইল্ড ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করবে।
ব্যাংকক শহরের ব্যাংকক ইউথ সেন্টারের ইনডোর স্টেডিয়ামে বসেছে কিকবক্সিং বিশ্বকাপের আসর। যেখানে মোট ৪০টি দেশের প্রায় ৯০০ খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করবেন। এই দেশগুলির মধ্যে আয়োজক দেশ থাইল্যান্ড ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ,ফ্রান্স,স্পেন, তুরস্ক, ডেনমার্ক, ইজরায়েল, প্যালেস্টাইন, আমেরিকা, পর্তুগাল, মরিশাস, মরক্কো, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, জার্মানি,আয়ারল্যান্ড, এস্টোনিয়া,ইরাক,ইরান,চিন, ভারত,পাকিস্তান সহ ৪০টি দেশ। এইসব দেশের আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াড়রা একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই প্রতিযোগিতায়।
দুর্গাপুরের বাসিন্দা পূর্ব ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আরাধ্যা ধীবর। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এই মেয়েকে শুধু প্রতিযোগিতার ময়দানেই নয়, লড়াই করতে হয় অর্থনৈতিক অনটনের জন্য়ও। তার পরিবার আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াড়ের সাজ সরঞ্জাম সহ অন্যান্য চাহিদা পূরণে অসমর্থ। তার উপর বিদেশর যাত্রার খবচ! আরাধ্যার মা কাকলী ধীবর জানান, রেজিস্ট্রেশন ফিস, যাওয়া আসার খরচ, আন্তর্জাতিক মানের খেলার সরঞ্জাম ইত্যাদি দরুন প্রায় ৩লক্ষ টাকার খরচ হয়েছে। যার বেশির ভাগটাই ঋণ নিয়ে ও ভবিষ্যৎ সঞ্চয় থেকে জোগাড় করা হয়েছে। তবে তার স্কুল থেকেও সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু সমাজসেবী এগিয়ে এসেছেন আরাধ্যাকে সহযোগিতার জন্য।
কাকলীদেবীর আবেদন আগামীদিনে কোনো সংস্থা অরাধ্যার মতো প্রতিভাময়ী খেলোয়াড়ের দায়িত্ব নিক, যাতে ভবিষ্যতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, দেশের হয়ে ঝান্ডা গেড়ে আসতে পারে ভারতের এই সোনার মেয়ে।





