সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- গ্রীষ্ম মানে যেমন গরম, তীব্র দাবদাহ তেমনি আবার গ্রীষ্মকাল মানের ফলের রাজা আমের সময়। আমের গন্ধ, বর্ণ, স্বাদে মন ভরে না এমন লোকের সংখ্যা বোধ হয় হাতে গোনা। আর খাদ্য রসিক বাঙালির তো গরমে শেষ পাতে এক টুকরো আম চাই চাই। বাংলার দুই জেলা মালদা এবং মুর্শিদাবাদ আমের জন্য বিখ্যাত। মালদার ফজলি আম তো জগৎ বিখ্যাত। কিন্তু সম্প্রতি এই দুই জেলার সঙ্গে সংযোজন হয়েছে আরও এক জেলার নাম, বাঁকুড়া।
রুখা শুখা জেলা হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়ার সিমলাপাল রায়পুর এবং শালতোড়ার পতিত জমি আর কংসাবতীর সেচ খালের দুপাশের লাগানো হয়েছে প্রচুর আম গাছ। এই সব গাছ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে আম্রপালি, হিমসাগর, চৌষা, মল্লিকা, ল্যাংড়ার মতো নানা প্রজাতির আম। আর এই আম শুধু স্থানীয় বাজার নয়, মেটাচ্ছে জেলা এবং রাজ্যের আমের চাহিদা। এমনকি গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যাচ্ছে বাঁকুড়া জেলার উৎপাদিত আম।
কিন্তু আম চাষীরা জানাচ্ছেন বাঁকুড়ায় আমের ফলন একেবারে তলানিতে। বাজারে আম্রপালি আম ঢোকার কথা ১০-১৫ দিনের মধ্যে। এদিকে এবারে ফলন কমেছে। যা গতবারের চেয়ে অর্ধেকের চেয়েও অনেকটা কম। এই অবস্থায় সামান্য ঝড় বৃষ্টি হলেই ফলন তলানিতে ঠেকবে বলে আশঙ্কা চাষীদের। গত বছর আম্রপালির ভালো ফলন থাকায় ৫০-৭০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এবছর যোগান না থাকায় সেই দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই অবস্থা অন্যান্য় আমের ক্ষেত্রেও।
তবে কি এবারের গরমে প্রিয় আম বাঙালির রসনা তৃপ্ত করবে না? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে মনে করা হচ্ছে শেষ পাতে একটু আম দিয়ে রসনা তৃপ্ত করতে এবার গ্যাটের কড়ি অনেকটা বেশীই খরচ করতে হবে।





