নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– “বিএসএফ যদি পাথর ছুঁড়ত তাহলে বিএসএফ নামার পর শান্তি ফিরত না।” বুধবার দুর্গাপুরে এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তেরে মুখ্যমন্ত্রী করা মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী ডাঃ অর্চনা মজুমদার।
প্রসঙ্গত এদিন সিটিসেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় মহিলা কমিশনের “মহিলা জন শুনওয়াই” কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের সদস্য ডাঃ অর্চনা মজুমদার। এই কর্মসূচি থেকে অভিযোগকারী মহিলাদের কথা শোনার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। এদিন ৬২ জনের মতো অভিযোগকারীকে ডাকা হয়েছিল বলে জানান ডাঃ অর্চনা।
অন্যদিকে কর্মসূচির শেষে অর্চনাদেবী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, রাজ্যের সাম্প্রতিক অশান্তির আবহে এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিশ শাহ কে আক্রমণ করে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কড়া ভাষায় তার উত্তর দেন মহিলা কমিশনের সদস্য। তিনি বলেন, “বিএসএফ পাথর ছোঁড়ার কাজ করে না। বিএসএফ যদি পাথর ছোঁড়ার কাজ করতো তাহলে বিএসএফ নামার পর জায়গায় শান্তি বিরাজ করত না। আমরা রাজ্যে যে পাথরবাজি দেখতে অভ্যস্ত, সেটা রামনবমীর শোভাযাত্রা হোক বা ধর্মীয় কোনো শোভাযাত্রা, বিশেষ করে গ্রামের দিকে, সেখানে যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না নামছে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি ফেরে না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্যে, বুধবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জিমদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটছে তা পরিকল্পিত। এই অশান্তি বাঁধানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ভুয়ো খবর ছড়ানো এবং বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “তাঁর কাছে তথ্য রয়েছে, সীমান্ত এলাকায় বাচ্চা ছেলেদের পাঁচ হাজার-ছ’হাজার টাকা দিয়ে বিএসএফ হাতে ইট ধরিয়ে দিচ্ছে। বিএসএফের ভূমিকার তদন্ত হওয়া উচিত।”





