সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তোলা আদায়ের ভাগ না পাওয়ায় এই ক্ষোভ, দাবি বোরিধী বিজেপির।
প্রসঙ্গত গতকাল ‘তালডাংরা থানার বিবড়দা এলাকায় ‘বিধানসভা ভিত্তিক ভোটার লিষ্ট সংশোধনী শিবিরে’ যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ। আর সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সাংসদ বলেন, “তালডাংরা থানার পুলিশ অফিসার এতো দাম্ভিক, আমি আপনার এলাকায় আসছি আর আমাকে পৌঁছাতে আপনার লজ্জা হয়!” দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই পুলিশ তৃণমূলের বন্ধু নয়, সরকারের বন্ধু নয়। এদের দিকে নজর রাখবেন। শুধুমাত্র রোজগার করার জন্যই তৃণমূলে আশ্রয় নেয়।” এমনকি পুলিশের উপর ভরসা না রেখে কর্মী সমর্থকদের দলীয় নেতৃত্বের উপর আস্থা-ভরসা রাখার কথা জানান।
সভা শেষে তাঁর ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংসদ অরুপ চক্রবর্ত্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওনার রেসপনসিবিলিটি নেই, আমরা যে মিটিং করতে যাবো তা দেখিয়ে দেওয়ার লোক নেই। যে সমস্ত পুলিশ অফিসারদের পাঠায় তাদেরও কোন রেসপনসিবিলিটি নেই। এটা জঙ্গল মহল মনে রাখা উচিৎ। এদের তো ন্যুনতম সৌজন্যতাবোধ নেই। বিজেপি নেতা হলে তো পিছনে পিছনে দৌড়ে বেড়ায়।”
অন্যদিকে তৃণমূলের এই মন্তব্যকে হাতিয়াড় করে পাল্টা শাসক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা বিপত্তারণ সেন কটাক্ষের সুরে বলেন, ” আইসি’রা সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করবেন না, তাঁরা শুধু তৃণমূল দলের জন্য কাজ করবেন। এটাই কি তিনি চাইছেন? ওই সাংসদ আসলে পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন পুলিশ দেশসেবা করেনা, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে রোজগার করে। অর্থাৎ আইসি’রা এলাকায় তোলা আদায় করেন, তিনি সেটা স্বীকার করে নিলেন। আর তোলা আদায়ের ভাগ তিনি পাচ্ছেননা বলেই হয়তো পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। বিরোধীরা এতদিন ধরে তোলা আদায়ের যে অভিযোগ করে আসছে এদিন তৃণমূল সাংসদ তা সত্য বলে প্রমাণ করে দিলেন।”





