সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– পশ্চিম বর্ধমান জেলায় “বাংলার ভোট রক্ষা” অভিযান শুরু করল তৃণমূল। ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে তাঁদের কর্মসূচি ও ‘দিদির দূত’ অ্যাপ নিয়ে বিস্তারিত জানালেন দলীয় নেতৃত্ব।
বুধবার বিকেলে আসানসোলের জিটি রোড সংলগ্ন রাহালেন মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে জেলা সভাপতি বলেন, “দেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে ভুতুড়ে ভোটারদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে বিজেপি। সেই জন্য দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে তারা জয়লাভ করেছে। ২০২৬ এর বিধানসভা সামনে রেখে বাংলাতেও বিজেপি একই জিনিস করতে চাইছে। কিন্তু বাংলায় এই ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট রক্ষা অভিযান শুরু করেছেন। দিদির দূত অ্যাপ চালু করা হয়েছে।যার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করা এবং নকল ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না দেওয়া। এই অভিযানের আওতায় তৃণমূল কর্মীরা টাউন, ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরে কাজ করবেন। জেলা ও বিধানসভা স্তরে বিএলও-১ এবং বুথ স্তরে বিএলও-২ দুটি দল কাজ করবে। এছাড়াও দুটি নতুন স্তর যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলি হলো একটি ব্লক ও টাউন স্তরে, অপরটি পঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড স্তরে। এই কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করবেন এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ও তা বাদ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ তৃণমূল কর্মীকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।”
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত ও ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিনব মুখার্জী।





