eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরের পিছিয়ে পড়া শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে "শীর্ষক"

দুর্গাপুরের পিছিয়ে পড়া শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে “শীর্ষক”

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– সমাজের জন্য কিছু করার তাগিতে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি-জোনের নাগার্জুন খেজুরতলা আমরা সংঘ ক্লাবের সদস্যরা মিলে তৈরি করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “শীর্ষক ফাউন্ডেশন”। এই সংগঠনটি বছরভর নানা ধরনের সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। মূলত শহর ও শহর সংলগ্ন প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া দুস্থ মানুষজনকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থিক সহায়তার মাধ্য়মে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার সচেষ্ট প্রয়াস করে চলেছে সংগঠনটি।

এই সেবামূলক কাজের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য ও চক্ষু শিবির, যেখানে অভাবীদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়। রক্তদান শিবির। খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র ও শীতবস্ত্র বিতরণ, ইত্যাদি। সংগঠনের এক সদস্য জানান, “আমরা নিয়মিতভাবে অভাবীদের খাওয়াই। চেষ্টা করি অন্তত কেউ খালি পেটে যেন ঘুমাতে না যান।”

এরই পাশাপাশি সম্প্রতি সংগঠনটি দুস্থ দরীদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ফল স্বরূপ নাগার্জুন খেজুরতলা আমরা সংঘ ক্লাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শিক্ষাকেন্দ্র “শীর্ষক শিক্ষাকেন্দ্র” । যেখানে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৫০টির মতো শিশু ও কিশোর কিশোরী এই শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশুনা করে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের বিষয়টি মাথায় রেখে ক্লাব সংলগ্ন মাঠে প্রতিদিন এইসব শিশু কিশোর কিশোরীদের খেলাধূলা করানোরও ব্যবস্থা করেছে সংগঠনটি। এছড়াও প্রতি রবিবার থাকে মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা।

সংগঠনের এক সদস্য জানালেন মূলত স্থানীয় বস্তি এলাকার বাচ্চারাই এই শিশুকেন্দ্রে পড়াশুনা করতে আসে। পারিবারিক পরিস্থিতির কারণে ওরা স্কুলেও যেতে পারে না। তাই ওদের নিয়েই শুরু করা হয়েছে “শীর্ষক শিক্ষাকেন্দ্র”। আগামী দিনে এই বাচ্চাদের নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দিতে চাই আমরা। ওরা স্বনির্ভর হলে নিজেদের পরিবারের দায়িত্ব যেমন নিতে পারবে তেমনি সমাজের পিছিয়ে পড়া আরও পাঁচজন মানুষজনের দিকেও সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে। সংগঠন তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু মানুষের সহযোগিতায় এই প্রচেষ্টা আরও বড় রূপ নিয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারে। “

তাই শীর্ষক সংগঠনের আবেদন শিল্পাঞ্চলবাসীর সমমনা ব্যক্তি বা সংগঠন এবং দানশীল ব্যক্তিরা যদি এই মহতী উদ্যোগে এগিয়ে এসে হাত মেলান তাহলে শহরের প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া শিশুগুলি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অধিকারী হতে পারে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments