সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– আসানসোলের শ্রীপুর সাতগ্রাম অঞ্চলের চরণপুর গ্রামের হাটতলায় ভূমিধসের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক। ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। গর্ত ভরাট ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ভোরে পুনরায় মাটি ধসে পড়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। ধসের ফলে যে গর্ত তৈরি হয়েছে, তার চওড়া প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট, গভীর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মতো। এছাড়া একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। এই ঘটনায় ধস এলাকার আশেপাশের বেশ কয়টি পরিবার ভয়ে রাতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটায়। সারথি মাহালি, কাজলি মাহালি, লচমনি মাহালিরা বলেন, “ঘরে থাকতে ভয় লাগছে।কখন মাটি ধসে আমাদের সব শেষ করে দেবে, জানি না।”
শনিবার সকালে বারাবনি থানার পুলিশ এবং ইসিএলের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে মাটি দিয়ে ধসের জেরে হওয়া বিশালাকার গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করা হয়। ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, ভূমিধসের কারণ সম্ভবত পুরনো খনির ‘চানাক’ বা ভূগর্ভস্থ ফাঁকা স্থান। তিনি বলেন, “ব্রিটিশ আমলে এই এলাকায় ভূগর্ভস্থ কয়লা খনন হয়েছিল। সেই ফাঁকা জায়গা ধসে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, বারাবনির বিডিও শিলাদিত ভট্টাচার্য বলেন, “গর্ত ভরাটের কাজ শীঘ্রই শুরু হয়েছে। এছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের জন্য ইসিএলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছি।” পাশাপাশি বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত সিংয়ের সাথে দেখা করেন এলাকার আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তিনিও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
যদিও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ও নিরাপদ ভবিষ্যতের দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা । তাঁরা শুধু গর্ত ভরাট করে দায় সারা নয়, বরং এলাকার ভূগর্ভস্থ পরিস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করারও দাবি করেছেন।





