নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর রীতিমতো যুদ্ধের আবহ দেশে। ভারত পাক সীমান্ত এলাকায় হামলা শুরু করছে পাকিস্তান। ভারতও তার যোগ্য জবাব দিচ্ছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের হাতে বন্দী বাংলার সেনা জওয়ানের ফেরা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে পরিবারের। দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপ সংলগ্ন ট্রাঙ্করোডে শ্বশুর বাড়ি আটক সেনা জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউয়ের। এই বাড়ির মেয়ে রজনী সাউয়ের সঙ্গে বছর আটেক আগে বিয়ে হয় হুগলির রিষ়ড়ার বাসিন্দা পূর্ণমকুমারের। তাঁর একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
প্রসঙ্গত গত ২৩ এপ্রিল ভারত পাক সীমান্তে ফিরোজপুর বর্ডারে ডিউটি করার সময় তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জার্স। জওয়ানকে ছাড়ানোর ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে বার বার ফ্ল্যাগ মিটিং করে ভারত। কিন্তু পাকিস্তানের তরফে পূর্ণমকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও সদিচ্ছা দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহ দুয়েক আগে জওয়ানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাঁর ছেলেকে নিয়ে পাঠানকোটে গিয়ে বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সিও র সঙ্গে কথা বলেন। বিএসএফ তাঁকে আশ্বস্ত করে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তার পর প্রায় ১৫ দিন কেটে গেলেও বিএসএফের থেকে আর কোনো খবর আসেনি। এদিকে এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্রতর হওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরে সেনা জওয়ানের শ্বশুরবাড়িতেও উদ্বেগ ও আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের লোকজন। এদিন পুর্নাম কুমারের স্ত্রী রজনী সাউয়ের বৌদি রানী গুপ্তা জানান চিন্তায় দুচোখের পাতা এক করতে পারছেন না তাঁরা। সরকার ও বিএসএফ থেকে কোনো খবর না আসায় চিন্তা আরও বাড়ছে। তিনি বলেন “আমরা চাইছি ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”
তবে এরই মধ্যে দিন কয়েক আগে সীমান্তে এক পাকিস্তানী রেঞ্জার্স জওয়ান আটক হয়। এর ফলে নিজেদের সেনা জওয়ানের বদলে পূর্ণমকুমারকে পাকিস্তান ফিরতে দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।





