নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- উত্তরাখণ্ডের বদ্রিনাথের পাইনবন থেকে উদ্ধার হল দুর্গাপুরের যুবকের ঝুলন্ত দেহ। মৃত যুবকের নাম প্রীতম মজুমদার(২৭)। সে দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর বি-জোনের এডিশন রোডের আবাসনে দাদু -দিদার সঙ্গে থাকত। প্রীতমের এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রীতমের বাবা প্রাক্তন বায়ু সেনা কর্মী। ২০০৮ সালে তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বাবা ফের বিয়ে করে গুজরাটে থাকেন। প্রীতমের মা পূর্ণিমা মজুমদার এনআইটির হস্টেলের সুপার ভাইজার ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি অসুস্থ। প্রীতমের দুই ভাই বোনকে নিয়ে তিনি বেনাচিতিতে থাকেন। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর দাদুর বাড়িতেই থাকতেন প্রীতম। সিএমইআরআই-এর সেন্ট্রাল স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর দুর্গাপুরের সরকারি কলেজ থেকে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশুনা করেন তিনি।
প্রীতমের দাদু ডিএসপির অবসরপ্রাপ্ত কর্মী দিলীপ দাস জানান পড়াশুনায় ভালো হলেও মনের মতো চাকরি পাচ্ছিল না প্রীতম। দুর্গাপুরে দু-এক জায়গায় চাকরি করার পর বর্তমানে একটি শেয়ার ট্রেডিং সংস্থায় কর্মরত থাকলেও অন্যত্র চাকরীর চেষ্টা করছিল সে। কলকাতায় চাকরির ইন্টারভিউ আছে বলে দুর্গাপুরের বাড়ি থেকে ৯ দিন আগে বেরিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু গত প্রায় দু’দিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ১১ মে তার সাথে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল, তখন সে জানিয়েছিল কলকাতাতেই রয়েছে। অবশেষে আজ সকালে পুলিশ ফোন করে জানায় উত্তরাখণ্ডের বদ্রিনাথে পাইনবনে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে প্রীতমকে।
তবে কীভাবে অতদূরে প্রীতমের দেহ উদ্ধার হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। কেউ কেউ মনে করছেন অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই যুবক। তবে পরিজনের প্রশ্ন অত দূরে গিয়ে কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত নেবে সে?
অন্যদিকে জানা গেছে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য বদ্রীনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রীতমের পরিবারের সদস্যরা।





