eaibanglai
Homeএই বাংলায়পড়ুয়াদের সাথে বসে অভিভাবকরা, ক্লাস নিলেন পুলিশ আধিকারিকরা

পড়ুয়াদের সাথে বসে অভিভাবকরা, ক্লাস নিলেন পুলিশ আধিকারিকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– স্কুলের ক্লাস রুমে পড়ুয়াদের সাথে বসে অভিভাবকরা, আর ক্লাস নিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এমনই ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গেলেও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে ক্লাস করতে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল পড়ুয়ারা। এদিন দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানার উদ্যোগে স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের নিয়ে “চাইল্ড ম্যারেজ অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম” শীর্ষক এক সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যখন কর্ণেল সোনিয়া কুরেশী, উইং কমান্ডার ভূমিকা সিংরা “অপারেশন সিঁদুর” এর ব্রিফ দিচ্ছেন, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন নারীরা, তখন এই বাংলায় রোখা যাচ্ছে না নাবালিকা বিবাহ । অতীতে স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের তৎপরতায় ও প্রশাসনের সহায়তায় দুটি নাবালিকা বিবাহের ঘটনা রোখা গেছিল। এদিন পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ছাত্রীদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন এবং অভিভাবকদের পাশে থাকার আবেদন জানান। অন্তত নিজের পায়ে দাঁড়ানো না পর্যন্ত মেয়েদের বিবাহ না দেওয়ার পরামর্শ দেন। অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক ছাত্রীদের নিজের পাঁয়ে দাঁড়ানোর জন্য অন্তত ২৫টা বছর দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের আবেদন করেন।

নাবালিকা বিবাহের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনার অঙ্গ হিসেবে সাইবার প্রতারণা নিয়ে এদিন পড়ুয়া, অভিভাবক, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সব পক্ষকেই সচেতন করেন উপস্থিত পুলিশ আধিকারকিরা। কীভাবে সাইবার প্রতারণা হয় তার একাধিক ঘটনা তুলে ধরে এদিন সকলকে সচেতন করা হয়। আধিকারকিরা জানান, এ.আই প্রযুক্তির ওপর ভর করে এগোচ্ছে দুনিয়া। আর সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাড়ছে সাইবার প্রতারণাও। অজানা লিঙ্কে একটা আঙ্গুল পড়তেই সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকা মুহূর্তের মধ্যে ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। অজানা নাম্বার থেকে ফোন করে নানান লোভনীয় কথা বলে ফাঁদে ফেলা হয়। সেই ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে অনেককে পথে বসতে হয়েছে। দুর্গাপুরের বহু মানুষও সেই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে হারিয়েছেন সারা জীবনের উপার্জন, ব্যাংক একাউন্টের সঞ্চয়।

এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন, “মোবাইলে যদি অজানা লিঙ্ক ভেসে আসে কেউ ক্লিক করবে না। যদি অজানা নাম্বার থেকে ফোন করে বলা হয় আকর্ষণীয় পুরস্কারের জন্য আমাদের বলা নম্বরটি টিপুন। সেই ফাঁদে কেউ পা দেবে না। সেই নাম্বারটি প্রয়োজন হলে পুলিশকে দিয়ে দেবে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট প্রতারকদের ধরতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ধরা পড়লে কঠোর শাস্তিও হচ্ছে।”

এদিনের সচেতনতা কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায়। ছিলেন সিআই(এ) রণবীর বাগ, নিউ টাউনশিপ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নাসরীন সুলতানা, বিধাননগর ফাঁড়ির ইনচার্জ মিহির দে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments