eaibanglai
Homeএই বাংলায়পাচারের চেষ্টা,আসানসোলে উদ্ধার ১১ জন নাবালক

পাচারের চেষ্টা,আসানসোলে উদ্ধার ১১ জন নাবালক

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- অপারেশন ” আহট ” র অধীনে বড় সাফল্য পেল আসানসোল ডিভিশনের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী। সূত্র মারফত খবর পেয়ে পাচারের আগেই ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১১ জন নাবালককে উদ্ধার করল আসানসোল রেল পুলিশ ।

জানা গেছে বুধবার দুপুরে আসানসোলের সিকিউরিটি কন্ট্রোল থেকে খবর পেয়ে আসানসোল রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের ওয়েস্ট পোস্ট ও আসানসোল রেল পুলিশ আসানসোল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসা ১২৩৭৬ নং তাম্বারাম সাপ্তাহিক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (জসিডি থেকে তাম্বারাম) ট্রেনের জেনারেল কোচ ( নম্বর ২৪৬৯৫৪সি ও ১৯২৩১৭সি) অভিযান চালায়। এই অভিযানের সময়, আরপিএফ ও রেল পুলিশের দলটি সন্দেহজনকভাবে বসে থাকা ১১ জন নাবালককে শনাক্ত করেন। তারা তাদের নাম ও ঠিকানা জানায়। তাতে জানা যায় ওই নাবালকেরা ঝাড়খণ্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। পাশাপাশি তারা জানায় যে, পাঁচজন ব্যক্তি চেন্নাইতে ভালো কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের নিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় ট্রেনেই উপস্থিত ছিল ওই পাঁচ ব্যক্তি। নাবালকেরা তাদের শনাক্ত করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তিরা স্বীকার করে যে, আর্থিক অসুবিধার জন্য তাদের বাবা-মা কাজের জন্য পাঠাতে রাজি হয়েছে। এরপর সেই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি উদ্ধার করা নাবালকদের পরামর্শ এবং পুনর্বাসনের জন্য আসানসোলের রেল শিশু সহায়তা ডেস্কে হস্তান্তর করা হয়।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা হলো, ঝাড়খণ্ড গিরিডির দীপক কুমার দাস (১৮), পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বিশ্বনাথ দোলুই (২৫), ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের উমেশ পাহাড়িয়া (২৪), বিহারের জামুইয়ের রাজেশ মাঝি (২৯) ও রাধে মাঝি (২৪)। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২২ সালে মানব পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে অপারেশন ” আহট ” শুরু করে ভারতীয় রেল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আরপিএফ নিরলস অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments