eaibanglai
Homeএই বাংলায়চিত্তরঞ্জনের যুবকের রহস্য মৃত্যুতে নয়া মোড়

চিত্তরঞ্জনের যুবকের রহস্য মৃত্যুতে নয়া মোড়

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– সম্প্রতি চিত্তরঞ্জনে একটি জলাশয়ে আসানসোলের মিহিজামের বাসিন্দা বছর সাতাশের রবিরঞ্জনের দেহ উদ্ধার হয়। যুবকের মৃত্যু নিয়ে ধন্ধ ও রহস্য তৈরি হয়েছিল। সেই মৃত্যুর ঘটনা নয়া মোড় নিল। যুবকের দাদা রাহুল রঞ্জন সিং রবিরঞ্জনের তিন বন্ধুর নামে চিত্তরঞ্জন থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা রবিরঞ্জনের তিন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ফতেপুর, জিতপুর (সালানপুর ব্লক) এবং দুর্গাপুরের বাসিন্দা।

রবিরঞ্জনের মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে তার খোয়া যাওয়া সাইকেলটি নিয়ে। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি গত ১৭ মে শনিবার বিকেলে রবিরঞ্জন ব্যাটারিচালিত সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ওই দিন বিকেলে চিত্তরঞ্জনসহ আশপাশের এলাকায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয় ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা এলাকা। এদিন বিকেল ৪টা থেকেই রবিরঞ্জনের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে রবিরঞ্জনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। পরদিন চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর ও সিমজুড়ির মধ্যবর্তী একটি জলাশয়ে রবিরঞ্জনের দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার সাইকেলটির কোনো খোঁজ মেলেনি।

এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে রবিরঞ্জনের পেটে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল ছিল। রাহুল রঞ্জনের দাবি, তাঁর ভাইকে জোর করে অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ, রবিরঞ্জনের মোবাইলের কল রেকর্ড এবং অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি রবিরঞ্জনের বন্ধুদের ওইদিন কি গতিবিধি ছিল তাও জানার চেষ্টা করছে।

রবিরঞ্জনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিরঞ্জন ও তাঁর বন্ধুরা প্রায়ই একত্রে মিলিত হতেন, গল্প গুজব এবং খাওয়া-দাওয়ায় মেতে উঠতেন। তবে কি এই ঘনিষ্ঠতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানের পিছনেও কি ছিল কোনো গভীর পরিকল্পনা ? ঝড়-বৃষ্টি-অন্ধকার প্রকৃতিক বিপর্যয়ের সুবিধা নিয়ে কি রবিরঞ্জনকে খুন করা হয়েছিল? এরকম নানা প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে স্থানীয়দের মনে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments