সঙ্গীতা কর, বাগনান, হাওড়া :- মানুষের অজ্ঞতার জন্য আজ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যেতে চলেছে। নষ্ট হতে বসেছে প্রকৃতির ভারসাম্য। তার মাঝেই কিছু কিছু সংস্থা সেইসব প্রাণীদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমেরিকার ‘টরটয়েজ রেসকিউ’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ২০০০ সাল থেকে ২৩ মে দিনটি ‘বিশ্ব কচ্ছপ দিবস’ বা ‘ওয়ার্ল্ড টার্টল ডে’ হিসাবে সারাবিশ্বে পালিত হয়ে আসছে। মূল লক্ষ্য হলো কচ্ছপদের বিলুপ্ত হতে চলা বাসস্থানগুলি রক্ষা করা এবং তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করা। আমাদের দেশে প্রায় তিরিশ প্রজাতির কচ্ছপ পাওয়া যায়। এইসব কচ্ছপকে রক্ষা করার জন্য বন বিভাগ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে চলেছে।
হাওড়া জেলার গঙ্গা, রূপনারায়ণ ও দামোদর নদে এবং বিভিন্ন জলাভূমি, পুকুর ও খালে প্রচুর কচ্ছপ পাওয়া যায়। কিন্তু শিকার করার জন্য, জলাভূমি ভরাটের জন্য, বাসস্থান নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য এইসব কচ্ছপের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। গত ২৩ মে পশ্চিমবঙ্গ ‘প্রকৃতি পরিষদ’ এর উদ্যোগে হাওড়া জেলার বাকসীতে রূপনারায়ণ নদীর তীরে পালন করা হয় ‘বিশ্ব কচ্ছপ দিবস’।
এইদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রকৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে রূপনারায়ণ নদীতীরবর্তী মৎস্যজীবীদের ও সাধারণ মানুষকে কচ্ছপ রক্ষা করার বিষয়ে সচেতন করা হয়। বিভিন্ন সচেতনতামূলক লিফলেট দেওয়া হয়। পাশাপাশি গ্রামীণ হাওড়া থেকে উদ্ধার করা দুটি তিল কচ্ছপকে মৎস্যজীবীদের হাত দিয়েই পুনরায় নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিন উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রকৃতি পরিষদের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু, চিত্রক প্রামানিক, ঝিন্দন প্রধান, সৈকত খাঁড়া, সুমন্ত দাস, সুপ্রকাশ আদক প্রমুখ।
সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু বলেন, কৃষকের বন্ধু কচ্ছপকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরে সচেতনতার প্রয়োজন। এরজন্য বিদ্যালয় ও হাটে-বাজারে প্রচার করতে হবে। জেলেরা যাতে তাদের জালে ওঠা কচ্ছপকে মেরে না ফেলে সেদিকে সতর্ক নজর দিতে হবে।





